ওসি ফিরোজের শেল্টারে দুইদিন ধরে ভাংচুর, লটুপাট ও গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া সেই সন্ত্রাসের গডফাদার তাজুল গং বাদিকে হত্যা করতে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমপির নাম বিক্রি করে ওসির ফায়দা হাসিল,ক্ষুদ্ধ এমপি 

0
470

৯৯৯-এর নির্দেশ অমান্য, মামলা নেয়নি থানা, আদালত তদন্তের নির্দেশ দিলেও ওসির দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় তদন্ত রিপোর্ট দিতে ঘড়িমসি, অপকর্ম আড়াল করতে মানববন্ধন, আপোষ মিমামাংসার জন্য বাদিকে চাপ সৃষ্টি, বাদির বাড়ির প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়া, চাকুরির ভয় দেখিয়ে শিক্ষকদেরকে মানববন্ধনে অংশ নিতে বাধ্য করানোর বিস্তর অভিযোগ

অবশেষে বরুড়ার সন্ত্রাসের গডফাদার নিজের অপকর্ম আড়াল করতে অপরাধ বিচিত্রা’র প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন। আবার মানব বন্ধনে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পুর্বক শিক্ষকদের অংশ গ্রহন করতে বাধ্য করছেন। ফলে অপরাধের শেল্টার দাতা হিসাবে ওসি ফিরোজও যেন মানব বন্ধনের বিষয়ে খুশি হয়েছেন। বরুড়ার এমপি নাসিমুল ইসলাম নজরুল এর নাম বিক্রি করে ওসি ফিরোজ ফায়দা নিচ্ছেন । স্থানীয় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এর পদের প্রভাব খাটিয়ে প্রভাবশালী সন্ত্রাসী তাবত অপকর্মের গডফাদার তাজুল গংদের থেকে সুবিধা আদায় করে এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। ওসির বিরুদ্ধে এলাকার তাবৎ অপরাধীদের শেল্টার দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামীলীগের পদের পরিচয়ে যারা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে মাদক ব্যবসা, চাদাবাজি, অন্যের জমি জোর র্পুবক দখল লুটপাট অস্ত্রবাজি নানা অপরাধীদের শেল্টার দিচ্ছেন ওসি।

 এ সুবাধে কোটিপতি তাজুল ইসলাম হয়ে উঠেছেন বেপরোয়া, ওসি তাজুলের পক্ষ নেয়ার ফলে তাজুলের অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস করে না। তাইজুল ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক হয়ে বজলুর রহমানের বাইশ লক্ষ টাকার সম্পদ লুটপাট করার কারনে ওসি মামলা না নেয়ায় কোটে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ওসির বিরুদ্ধে বাদী বজলুর রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন করেছেন। এ ছাড়াও ওসি আদালতের প্রতিবেদন দাখিল করতে বিলম্ব করছেন বাদির থেকে উৎকোচ আদায়ের অভিপ্রায়ে আবার এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে রলছেন যে এমপি ওসিকে চাপে রেখেছেন প্রতিবেদন না দেয়ার জন্য। প্রতিবেদনটি লিখেছেন ঈগল টিম। কুমিল্লা বরুড়া থানাধীন এলাকার এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা নিয়ে এ প্রতিবেদন।

পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী তাজুল যে ভাবে বজলুর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান লুটপাট করে:

সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম বিগত ১১/০৯/২০২৩ইং বজলুর রহমানের রাইস মিল, মুদি ও চায়ের দোকানে হামলা করে প্রায় ২২ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন ও পরিবারের উপর নির্মম বর্বরচিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায়। তার প্রেক্ষিতে বজলুর রহমান বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। যাহার মামলা নং ডিসিআর-৬৫/২৩, স্বারক নং ৪৩৪ তাং ১২/০৯/২০২৩। সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা জজকোর্টের রায় অমান্য করে যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলার সকল তথ্য প্রমানের ভিক্তিতে অপরাধ বিচিত্রায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বজলুর রহমান সত্য সংবাদটিতে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়। তাতে তাজুল ইসলামের লোমহর্ষক চিত্রে তাজুল ইসলামের নানা অপকর্ম, দুর্নীতি, অন্যের ভূমি জবর দখল, নারী ধর্ষণ, গুম ও খুনের একাধিক তথ্য অপরাধ বিচিত্রা’র অনুসন্ধানী দলের হাতে এসেছে। তাজুল ইসলাম পেশি শক্তি খাটিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ে অনেক অসহায় হতদরিদ্র দিনমজুর মানুষের জমি জবর দখল করে নিয়েছে এরকম অনেক তথ্য পাওয়া যায়। তাদের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে হতে হয় লাশ না হয় গুম যা তাদের নিত্যদিনের কাজ।

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল  সহজ সরল বাদি বজলুর রহমান যা বলেন:

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বজলুর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, নিজের জীবন ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আইনী সহযোগিতা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি তারপরেও সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম গংরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় নিজের ভোগ দখলীয় সম্পদ সন্ত্রাসীর আক্রোশ থেকে মুক্ত করার জন্য মিডিয়া ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি আরও জানান, আমার সম্পত্তি দখল করার জন্য সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলাম তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদেরকে লেলিয়ে দিয়ে আমার পরিবারের উপর আক্রমণ ও জমি দখল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাদি বজলুর রহমান যেভাবে ঘটনার বর্ননা দেন:

ফজরের নামাজ পরে আমি অসুস্থ থাকায় আমার ছেলে মো: সুমনকে নিয়ে কুমিল্লায় ডায়াবেটিস হাসপাতালে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা করি। হঠাৎ করে আমার চাচাতো ভাই এরশাদ মোবাইল ফোনে চিৎকার দিয়ে বলেন, বজলু ভাই রাইস মিল দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলতেছে সেই অবস্থায় একটু পরে আমার মেয়ে শারমিন আক্তার আমাকে ফোনে চিৎকার দিয়ে বলেন, আমাদের রাইস মিল, মুদির দোকান, চায়ের দোকান টিনশেড ঘর ভেঙে ফেলছে। তখন আমি খবর পেয়ে আমি ও আমার ছেলে থানায় চলে  যাই। থানায় যাওয়ার পর পুলিশকে জিজ্ঞাসা করি স্যার আমার বাড়ী জোরপুকুরিয়া মৌলভীবাড়ী সংলগ্ন বাড়ীর পাশের টিন শেড, আধা পাকা টিনশেড ঘর, দোকান পাট, রাইস মিল ও চা দোকান ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে, উত্তরে পুলিশ বলেন, ব্যবস্থা নিতেছি এভাবে থানায় প্রথমে দেড় ঘন্টা বসে আছি। তারপর কান্না কাটি করেও পুলিশের হাতে পায়ে ধরে বলি যে, আমার ঘর বাড়ী ভেঙ্গে ফেলছে। অন্য এক পুলিশ এসআই এর সাথে কথা বলতে বলেন এসআই কে জানান-আপনারা আমার ঘর বাড়ি, দোকানপাট রক্ষা করেন। থানা কর্মরত ডিউটি অফিসার এসআই ফখরুল আমাকে বলেন-আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি, আপনি এখানে থাকেন আপনার ওখানে যাওয়ার দরকার নেই। আমাকে থানায় বসিয়ে রেখে তিনি চলে যান ঘটনাস্থলে। এই ফাঁকে শারমিন কে ফোন করে বলি, পুলিশ যাচ্ছে তুমি কষ্ট করে পুলিশকে ঘটনা দেখাও এবং বলো।

এরপর আধা ঘন্টা পর আমার মেয়ে শারমিন ফোনে বলে, পুলিশ এসে দুই মিনিটও অপেক্ষা করে নাই চলে গিয়েছে এবং কাউকে কোন কথা জিজ্ঞাসাও করে নাই। তারপর আমি এই খবর পেয়ে ৯৯৯ এ আবার ফোন করি। ফোন রিসিভ করে আমার পরিচয় ও বিষয় জানতে চায়। তখন আমি ঘটনা বলি, তারপর উনি থানায় যেতে বলেন। আমি উত্তরে বলি আমি থানায় আছি। পুলিশ একবার গিয়েছিলো। কিন্তু আমার মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি। তিনি যাওয়ার পর আবার ফখরুল ইসলাম সাইপ্রাস প্রবাসি তার ভাই তাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম ছেলে ইমরানসহ ২০/২৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দিয়ে ধ্বংসাত্নক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

আমার মেয়ে এই ভাংচুর দেখে আমি থানায় থাকা অবস্থায়। আমাকে আবারও ফোন করে বলে সন্ত্রাসীরা ভাংচুর শুরু করেছে। এমতাবস্থায় আমি আবার ৯৯৯ এ ফোন করি। ফোন করার পর ফোন রিসিভ করলে আমি বলি স্যার পুলিশ একবার ঘটনাস্থলে গিয়েছে ২/৩ মিনিট অপেক্ষা করে আবার চলে আসছে। তখন আমি বলি স্যার আমি কি করতাম? আমি কান্নায় ভেঙ্গে পরি। ৯৯৯ এ পুলিশকে আমি চিৎকার করে বলতে থাকি স্যার আমার ঘর, রাইস মিল, দোকানপাট বাঁচান! তখন ৯৯৯ থেকে পুলিশ আমাকে বলেন, ব্যবস্থা নিচ্ছি আপনি থানায় যান। আমি উত্তরে বলি স্যার থানার সামনে আমি আছি অত:পর ৪/৫ মিনিট পর উনি আমার ফোন কেটে দিয়েছে। আমি এস আই ফখরুলেরর কাছে গিয়ে হাতে পায়ে ধরের চেষ্টা করি। বার বার বলি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিল ঘরে সন্ত্রাসীরা ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলছে। স্যার আপনি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাঁচান, উত্তরে উনি বলেন-আবার যাচ্ছি। আনুমানিক ১৫/২০ মিনিট পর উনার সাথে ২/৩ জন পুলিশকে নিয়ে রওনা হন ঘটনাস্থলে তখন আমি বলি স্যার আপনার কাছে আমার অনুরোধ আপনাদের সঙ্গে আমাকে নিয়ে যান।

তখন এসআই ফখরুল আমাকে ধমক দিয়ে বলেন, আপনাকে যাওয়া লাগবেনা, একবার বলেছি না! আপনি থানার সামনে বসে থাকেন আমরা যাইতেছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর আমার মেয়েকে ফোন করে বলি পুলিশ আবার যাচ্ছে। তুমি পুলিশকে বলো আমাদের ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বাঁচান। তখন মেয়ে আমাকে উত্তরে বলে-ঘর-দরজা, রাইস মিল, সব কিছু ভাঙ্গা হয়ে গিয়েছে। এখন পুলিশকে এসব কথা বলে কি হবে! তখন আমি বলি  তোমার মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ভাঙ্গা ঘর বাড়ির ছবি গুলো ভিডিও করে রাখো।

মৃত্যুকে ভয় না করে মনে আক্ষেপ করে ভিডিও করতে যাও। আমার মেয়ে সেখানে ভিডিও করতে যায়। তখন সন্ত্রাসী ফখরুল ইসলাম সাইপ্রাইস প্রবাসীর ভাই তাজুল ইসলাম আমার মেয়েকে বলে এখানে কেনো এসেছো? এই বলে ধমক দিয়ে বলে দোকান ঘর, রাইস মিল ভেঙ্গে শেষ করে দিয়েছি, এমনকি বাড়ি ঘরেও থাকতে পারবি না। বাড়ি ঘর জালিয়ে দিব। এই বলে মেয়েকে ফখরুল ইসলাম থাপ্পর মারে আর তাজুল ইসলাম মেয়ের গালে চর মেরে হাত থেকে মোবাইল নিয়ে যায় এবং ধাক্কা দিয়ে বলে এখান থেকে চলে যা। না হলে বে-ইজ্জতি করে মেরে ফেলবো।

আত্নসম্মান নিয়ে আমার মেয়ে ঘরে চলে আসে। পরে ঘরে যেয়ে আমাকে ফোন করে বলে পুলিশ এসে আর কি হবে? সবতো ভেঙ্গে চুরে শেষ করে ফেলেছে। তার পর আমি বলি যেভাবে হোক একটু ভিডিও করতে পারো কিনা চেষ্টা করো। তখন মেয়ে বলে আমি দেখি কি হয় আপনাকে জানাবো। একটু পর মেয়ে আমাকে আবার ফোন করে বলে আমি আরেকটি টার্চ মোবাইল হাতে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে ভিডিও করতে চেষ্ঠা করি। তখন আমি বাড়ির পাশে মসজিদের সামনে দিয়ে ভিডিও করতে যাই। তখন তাজুল ইসলাম ও ছেলে ইমরান আমার মেয়েকে ধমক দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে দৌড়ে এসে আমার মেয়েকে মারধর করে, টানা হেচঁড়া করে ইজ্জতহানি করে। হাত থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

 তখন আমার মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় এসে পুত্রবধুর মোবাইল থেকে বাসায় এসে আমাকে ফোন করে বলে পুলিশ তো আবার এলো না। আমি মেয়েকে শান্তনা দিয়ে বলি পুলিশ আসবে। তুমি বসতঘরের পূর্ব দিকের জানালা খুলে দেখো তাকিয়ে থাকো। পুলিশ আসলে সব ঘর্টনা খুলে বলি। মেয়েকে এই কথা বলা অবস্থায় আমাকে বলে আব্বা পুলিশ আসছে আমি সেখানে যাই। তুমি এখন ফোন কাটো। পরে তোমাকে বলবো। ৪/৫ মিনিট পর আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে আমি পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম আমার আম্মাকে সাথে নিয়ে পুলিশকে গিয়ে সালাম দিলাম এবং বললাম আমাদের কি অপরাধ? আমরা কি অন্যায় করেছি? একথা বলে পুলিশকে বললাম আপনারার একবার আসলেন, আবার একটু পরেই চলে গেলেন কাউকে কিছু না বলেই। প্রায় সকাল ১০ টার পর আবার আসলেন এদিক ওদিক তাকিয়ে মুচকি মুচকি  হেসে, যারা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সব কিছু ভেঙ্গে চুরমার করে দিলো, তাদেরকে কিছু বললেন না। আবার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একসাথে হয়ে দাঁড়িয়ে কি কথা যেনো বললেন তা বুঝতে পারলাম না। অত:পর দাঁড়িয়ে থাকা একজন পুলিশ (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) মেয়েকে হাত দিয়ে ইশারা করে ডেকে বলে কানে কানে এখানে কোন প্রকার বিচার পাবে না। তোমার বাবাকে বলো কোর্টে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য, মেয়ে একথা শুনে চিৎকার করে কান্না করে বাড়িতে আসেন। আর বলে আল্লাহ যেনো আপনাদের বিচার করে। এরপর থানায় অবস্থানরত সময়ে আমার মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে আমরা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে বিচার পাবো না। অত:পর মেয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনি কোথায়? আমি বলি এখন আমি বরুড়া থানায় আছি। তারপর মেয়ে বলে আল্লাহকে ইনসাব দিয়ে চলে আসেন, তখন আমি বলি মা ফোন রাখো। তৃতীয় বার আবার থানায় ডুকে এসআই ফখরুল খোঁজ করি; কিন্তু তাকে পেলাম না। তখন আমি তখন এসআই মুঠোফোনের নম্বর সংগ্রহ করে ফোন দেই।

একাধারে ৪ বার ফোন দেই কিন্তু এসআই ফোন রিসিভ করেননি। তখন আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি, কান্নায় দেখে অন্যান্য পুলিশ আমাকে বলেন, আপনার কি হয়েছে? তখন আমার সমস্ত ঘটনা পুলিশদেরকে জানাই। তারা সব কথা শুনে আমাকে বলেন, আপনি কুমিল্লা কোর্টে মামলা করেন। তখন আমি কাঁদতে কাঁদতে থানা থেকে বের হয়ে আসি। সকাল ১০ টা পর্যন্ত থানায় অপেক্ষা করে আবার আমার ছেলে সুমনকে নিয়ে বেড়িয়ে আসি। তারপর আমার ছেলে আমাকে বলে যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে; আপনি বরুড়া বাজারে থাকেন। আমি একটু ঘটনাস্থল দেখে আসি। আল্লাহর উপর ভরসা করে তখন আমার ছেলে সিএনজি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাড়ির কাছে মসজিদের সামনে নেমে দেখে সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম, ইমরানসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ধ্বংসাত্নক কার্যকলাপ চালাচ্ছেন। তখন আমার মোবাইল দিয়ে ভিডিও করার চেষ্টা করছিলাম। আমাকে দেখা মাত্র দা, ছেনি, শাবল, এস. এস পাইপ নিয়ে মারার জন্য দৌঁেড় আসছিলো এই অবস্থা দেখে ভিডিও করতে করতে পিছিয়ে আসি। তখন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাকে দৌড়াঁতে থাকে, এরপর আমি দক্ষিণ দিক আসা একটি চলমান সিএনজিতে উঠে পরি; পরে বরুড়া বাজারে বাবার কাছে চলে আসি।

এসে আমি বাবাকে বলি বাবা আমি প্রাণে বেঁচে এসেছি। যদি আমাকে ধরতে পারতো তাহলে প্রাণে মেরে ফেলতো।এ কথা আমি শুনে আমি আমার ছেলেকে বুকে জরাইয়া ধরি এবং বাবা ছেলে মনের দু:খে কিছুক্ষণ কান্না কাটি করি। নিরুপায় হয়ে কুমিল্লা কোর্টে যাই। গত ১১/০৯/২০২৩ইং ঘটনা হলে ১২/০৯/২০২৩ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করি।

যারা মামলার  আসামী:

ফখরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম পিতা: নজির আহম্মেদ, মো: ইমরান হোসেন পিতা: তাজুল ইসলাম, হাবিবুল হক পিতা: মৃত আবুল খায়ের, রিফাত হোসেন পিতা: হাবিবুল হক, কামাল হোসেন পিতা: মৃত হুমায়ুন কবির, মো: কবির হোসেন পিতা: হুমায়ুন কবির, মো: কেফায়েত উল্ল্যাহ পিতা: মৃত আব্দুল মালেক, সালামতুল্ল্যাহ পিতা: মৃত আব্দুল মালেক, রেজাউল হক নয়ন পিতা: মৃত আবুল খায়ের, মো: শুভ পিতা: সালামতুল্ল্যাহ সর্ব সাং-জোরপুকুরিয়া, মৌলভী বাড়ি, থানা: বরুড়া, জেলা:  বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার

বিবরন:

মামলার বিবরণে বলা হয়। সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, অর্থ আত্নসাৎকারী মো: ফখরুল ইসলাম (৪৫) সাইপ্রাস প্রবাসী, মো: সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই মো: তাজুল ইসলাম (৬০), তিনি ১১নম্বর গালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ আসনের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। উক্ত বিষয়ে তাজুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে বজলুর রহমানকে মহিলা মেম্বার হাওয়া নূর ২নং ওয়ার্ড ১১নং গালিমপুর পক্ষ নিয়ে। তিনি আমাকে হত্যার হুমকি দেন এবং আমাকে ঘরে প্রবেশ করতে দিবে না। পক্ষান্তরে মো: তাজুল ইসলাম গং অত্যন্ত উচ্ছংখল বেপরোয়া অত্যাচারী দখলবাজ, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, দুষ্ট, দুর্দান্ত ও আইন অমান্যকারী লোক। সন্ত্রাসীগণ এলাকার সালিশ দরবার কিছুই মান্য করে না। সন্ত্রাসী তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আরেকটি নারী নির্যাতনের মামলা রয়েছে আদালতে। যাহার মামলা নং-২৫৮৭/২০০৯,। এ বিষয়ে মামলা বাদী নাছিমা আক্তার বলেন, আমাকে মামলা করার পর নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে সন্ত্রাসী জাজুল ইসলাম তার ক্যাডার বাহিনী।

গডফাদার কে এই তাজুল ইসলাম?:

কুমিল্লা ১১ গালিমপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের তাজুল ইসলামের অপকর্ম অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে এলাকাবাসী। প্রবাসী ভাইয়ের টাকার গরমে এলাকায় তাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। গালিমপুরে চাঁদাবাজী, অন্যর জমি দখল, নারীদের উত্ত্যক্ত করাই নিত্যদিনের কাজ। প্রতিদিন হামলা দখল করলে তিনি এমপি আর্শিবাদপুষ্ঠ হয়ে এমন অপকর্ম করে যাচ্ছে।

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে। অন্যের জমিতে অবৈধ ভাবে তাজুল ইসলাম গং দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল তৈরী করার চেষ্টা করেন।

গত ১১/০৯/২০২৩ইং তারিখে সোমবার, সকালে ০৭.টার সময় আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বজলুর রহমান রাইছ মিল ও মুদির দোকান এ ঘরে ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার পূর্বে তাজুল ইসলাম তার  সন্ত্রাসী বাহিনী বজলুর রহমানকে মারধর করেন ও দোকান চুরির ঘটনায় ঘটায়।

এ ব্যাপারে বজলুর রহমান একটি সি.আর ৩৮/২২, তাং ২২/০৮/২০২২ইং এ মামলটি আদালতে চলমান রয়েছে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী নির্যাতন মামলা। যাহার মামলা নং-২৫৮৭/২০০৯,। এ বিষয়ে মামলা বাদী নাছিমা আক্তার বলেন, আমাকে মামলা করার পর নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে সন্ত্রাসী তাজুল ইসলাম তার ক্যাডার বাহিনী।

তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ কথা ভয়ে কথা বলতে চায় না। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে জনৈক এক এলাকাবাসী বলেন, তার বিরুদ্ধে কথা বললে এলাকা ছাড়া হতে হবে। আমরা নিরিহ মানুষ কাজ কর্ম করে চলি আমাদেরকে বিপদে ফেলে দিবে না।

তাজুল ইসলামের বক্তব্য:

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত তাজুল ইসলামকে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা আমাদের ওয়ারীশীয় সম্পত্তি ও ক্রয়সূত্রে তিন দলীলে আঠার শতাংশ জমি দখল করে আসছি। তিনি আরও বলেন, আপনারা হয়তো জানেন না বজলুর রহমান একজন পাকা অভিনেতা তার অভিনয়ে শাবানা, রাজ্জাক ও কবরী ফেল। তার বাবা দির্ঘদিন যাবৎ আধা শতাংশ জমিতে দোকান করে আসছিল। সে সুবাদে বজলুর রহমান পুরো তিন শতাংশ জমি জবর দখল করে আসছে। তার দোকানে মালামাল ভ্যান গাড়ী দিয়ে বাসায় নিয়ে আমাদেরকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। আপনি কি? বজলুর রহমানের দোকান ঘর ভাংচুর করে মালামাল পুলিশের সামনে লুট করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, স্থানীয় গ্রামবাসী আমার পক্ষে আমার জমি দখলের সহযোগিতা করেছেন। পুলিশ আমার কাগজপত্র দেখে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। ইতিপূর্বে বজলুর রহমানের সাথে উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তি সহ প্রায় ২২ বার শালিশে বসার পরও বজলুর রহমান কারও শালিশ মেনে নেয়নি। বজলুর রহমান দোকান সহ মাত্র ৯৬ সেন্ট জমির মালিক বাকি জমির দলীল ভুয়া। আপনারা সরেজমিনে এসে উভয়ের কাগজপত্র দেখে তদন্ত করে যাহা সিদ্ধান্ত দিবেন।

থানা কেন আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না, মামলা নিচ্ছে না আসামী গ্রেফতার করছে না এটার দায় ওসির

……সংসদ সদস্য

 নাসিমুল ইসলাম নজরুল

এ বিষয়ে কুমিল্লা ৮ আসনের সংসদ সদস্য নাসিমুল ইসলাম নজরুল এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি এবং আমি ইতিপুর্বে বিষয়টি মিমাংসাও করেছিলাম, আবার তারা অন্যায় কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। তাজুল কাউকে মানে না এমনকি আমাকেও মানে না। থানা কেন তার বিরুদ্ধে মামলা নিচ্ছে না বা তাকে গ্রেফতার করছে না, কেন চার্জশিট দিতে দেরি করছে এটা আমার বিষয় না এর কোন ব্যত্যয় ঘটলে সেটা ওসি বলতে পারবে। কোন অন্যায়কারীকে আমি প্রশ্রয় দেই নাই আর কখনো দিবও না। তাজুল আবারো কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটাল তার বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা থানা নিবে এটা থানার ব্যপার।  

কুমিল্লা বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ (ওসি)’র বক্তব্য:

এ ব্যাপারে কুমিল্লা বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)’র সাথে তার মুঠো ফোনে ঘটনার ফিরিস্তি জানতে চাইলে বলেন, আপনারা আমার ছবি দিয়ে পত্রিকায় নিউজ করেছেন তাকি আইনের ব্যত্যয় ঘটাননি? আইন সবার জন্য সমান। পুলিশের সামনে সন্ত্রাসীরা বজলুর রহমানের বাড়ীঘর লুট করেছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে সেটা কি আপনি জানেন না? উত্তরে তিনি বলেন, আমাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়নি। একজন এসআই ঘটনাস্থলে থাকা মানে স্বয়ং আপনি উপস্থিত থাকা উত্তরে তিনি বলেন, তাও আমি জানিনা। আপনাকে কি এমপি মহোদয় ঘটনাটি উভয় পক্ষকে ডেকে এনে সমাধানের  নির্দেশ দিয়েছেন? জবাবে তিনি বলেন, আমাকে এমপি বলেছেন, তদন্ত করে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে সমাধান করার কথা। আদালতের মামলা আপনি সমাধান করার কে? উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার জন্য বসার নির্দেশ কি আদালত আপনাকে দিয়েছে? উত্তর না দিয়ে তদন্ত কারী কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে নিন বলে সংযোগ কেটে দেন। ভুক্তভোগী বজলুর রহমান নিজের জীবন রক্ষার্থে পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল

এর বক্তব্য:

এ বিষয়ে গালিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল আলম বলেন, আসলে বিষয়টি খুবই দু:খ জনক। তিনি আরো বলেন তাজুল গং এর বিষয়ে অনেক চেষ্টা করেও মিমাংসা করতে পারেন নি। তাজুল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে এমপির খয়ের খা। তাজুল কাউকে মানে না। এমপি সাহেরও বিষয়টি মিমাংসা করতে চেয়েছিল কিন্তু তাজুল গংয়ের এক ঘুয়েমির কারনে এ ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিকের বক্তব্য:

এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিক মহিউদ্দিনের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান আমার অনুসন্ধানে

মনে হচ্ছে বজলুর রহমান অনেকটা ভুক্তভোগী যদিও উক্ত বিষয় নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে এখন আদালত যা রায় দেয় উভয় পক্ষকে তাই মেনে নিতে হবে। তার সামনে তাজুলের ছেলে এমরান দা দিয়ে কোপাতে তেড়ে আসছে এরকম কোন ঘটনা ঘটেছিল কিনা? জবাবে বলেন আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর তাজুল আমাদের সামনে তার ছেলেকে হুকুম দিয়েছে বজলুর ছেলে সুমনকে ধরার জন্য । তিনি আরও জানান, আমি বিষয়টি নিয়ে বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে বিষয়টির সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালতের মামলার প্রতিবেদন আমরা খুব শীঘ্রই দাখিল করবো তবে কিছু একট ঘটনা ঘটেছে এমনটা ওসি আমাদেরকে জানিয়েছেন। স্থানীয় জোড় পুকুরিয়া এলাকার দেলোয়ার হোসেনের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাজুল ইসলাম সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে বজলুর রহমানের দোকান ঘরের মালামাল লুট ও রাইস মিলের সকল মেশীনারী প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত গ্রামবাসী ও পুলিশের সামনে থেকে নিয়ে যায়।

গ্রামবাসী দেলোয়ার

এর বক্তব্য:

দেলোয়ার এলাকার শান্তিপ্রিয় ব্যাক্তি। জোড়পুকুরিয়ার বাসিন্দা। তাজুল ইসলাম সম্পর্কে জানতে চাইলে এমন প্রশ্নের জবাবে দেলোয়ার বলেন তিনি এমপির লোক। আমরা বেশী কিছু বলতে পারবো না আমাদেরকে বিপদে ফেলবেন না। তিনি আরো জানান তিনি শুনেছেন আমার মনে হয় ২ লাখ টাকার মত পুলিশ সেদিন উৎকোচ গ্রহণ করেছেন তাজুল থেকে। বিভিন্ন লোক মুখে শুনা যায় এ টাকার কথা। কারণ তাজুল ইসলাম গালিমপুর ইউনিয়নের সরকারী দলের সাধারণ সম্পাদক তাই পুলিশ তাকে সমীহ করে সহযোগিতা করেছেন।

ইউনিয়ন

সদস্যের বক্তব্য:

স্থানীয় ইউনিয়নের সদস্য জামাল বলেন, বিষয়টি আমার অবগত আছি। তাজুল গং বজলুর রহমানের রাইস মিল দোকান ঘর ভাংচুর করে সব মালামাল নিয়ে গেছে এবং বজলুর রহমানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। আরো বলেন এরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এমপি সাহেব এ বিষয়গুলো জানেন। এমপি সাহেবকে বাকি প্রশ্নগুলোর বিষয়ে জানার জন্য আমাদের অনুরোধ করেন।

ভারপ্রাপ্ত সুপার জসিম উদ্দিন এর বক্তব্য:

স্থানীয় আশ্রাফিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার জসিম উদ্দিন আমাদেরকে মুঠো ফোনে জানান, বজলুর রহমান ও তাজুল ইসলাম দুজন চাচা-ভাতিজা তারা মাত্র ২ শতাংশ জমি নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সালিশ বিচার করে আসছে কিন্তু কেউ তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। আপনাকে তো তাজুল ইসলাম জোর করে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত করিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অকপটে স্বীকার করলেন সে আমার মাদ্রাসার সভাপতি সংগত কারণে আমি তার ডাকে সাড়া দিতে হবে তাই আমি সেখানে উপস্থিত হয়েছি।

স্থানীয় সেলিম

এর বক্তব্য:

এ ব্যাপারে স্থানীয় সেলিমকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনার ফিরিস্তি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে মামলা অনুযায়ী জমির মালিক তাজুল খুব বাড়াবাড়ী করে গ্রামের শত শত লোকের সামনে বজলুর রহমানের দোকান লুট করে নিয়ে যায়। আমাদের সামনে বজলুর বাবা প্রায় ৫০ বছর যাবৎ দোকান দারী করে আসছে। তখন তো তাজুল ইসলাম জমি দাবি করেননি এখন কেন? বজলুর দোকান লুট করে নিয়ে গেছে তা সকলের মুখে মুখে। স্থানীয় মফিজ মিয়া বলেন, আসলে বজলু একজন মাথা ত্যাড়া লোক সে এলাকার কাউকে সম্মান দেয় না কারও কথা শোনেনা। আমরা ১৯টি পরিবার তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আপনারা সরেজমিনে এসে তদন্ত করে যা সিদ্ধান্ত নিবেন আমরা তা মেনে নিব।

তদন্তকারী কর্মকর্তা

উত্তম কুমার

এর বক্তব্য:

ডিসি আর মামলা ৬৫/২৩ স্বারক নং ৪৩৪ এর তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তম কুমার সাহাকে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে কিনা তাহার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালত থেকে ৭ কার্য দিবসের সময় নিয়েছি। পুঙ্খানু পুঙ্খানু তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন দাখিল করবো।

নেপথ্য ঘটনা:

তাজুল গং দীর্ঘদিন যাবৎ বজলুর রহমানের ব্যবসার যায়গা এবং ঘরটি ক্রয় করতে চেয়েছে। বজলুর রহমান তার একমাত্র আয় রোজগারের সম্বল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বিক্রয় করতে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসি মনে করেন। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়।

মহামান্য আদালতের নির্দেশনায় মতে, কুমিল্লা কোর্ট থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করেন মো: সোলায়মান প্রধান নামের এক ব্যক্তিকে। উভয় পক্ষকে কোর্ট থেকে কমিশন/সার্ভেয়ার/পরিদর্শক স্বাক্ষীগণের এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সরেজমিনে সঠিক কাগজ পত্র ভিত্তিতে বজলুর রহমানকে ২৯ শতকের আইনী দলিল এক খতিয়ান দক্ষিন পূর্ব অংশের ২.৮২ শতক জায়গা মাপ দিয়ে বজলুর রহমানকে বুঝাইয়া দেওয়া হয়। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে। জমিতে অবৈধ ভাবে তাজুল ইসলাম গং দখল করে বাউন্ডারী ওয়াল তৈরী করার চেষ্টা করেন।

গত ১১/০৯/২০২৩ইং তারিখে সোমবার, সকালে ০৭.টার  সময় আমার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বজলুর রহমান রাইছ মিল ও মুদির দোকান এ ঘরে ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনার পূর্বে তাজুল ইসলাম তার সন্ত্রাসী বাহিনী বজলুর রহমানকে মারধর করেন ও  দোকান চুরির ঘটনায় ঘটায়।

এ ব্যাপারে বজলু রহমান একটি সি.আর ৩৮/২২, তাং ২২/০৮/২০২২ইং এ মামলটি আদালতে চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন রাইছ মিল, মুদির দোকান ও সম্পত্তির মালিক বটে। সম্পত্তির এক শতাংশ আমি পৈত্রিক সূত্রে মালিক এবং সাব কবলা দলিল মূলে মালিক হই। গত ১০/০৯/২০২৩ইং তারিখে সন্ত্রাসীরা পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি অস্বীকার করায় সন্ত্রাসীরা দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়। তৎকারণে ঘটনার দিন তারিখ ও সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে চাঁদার দাবিতে স্ব-দল বলে নিম্ন আধা পাকা টিন শেড, মিল ঘর ও মুদি দোকান ঘরটি তারা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে স্বশস্ত্র ভাবে হেমার, গ্রেডিং ও ড্রিল মেশিন দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় প্রায় বিশ লক্ষ টাকা ক্ষতি  করে থাকে। আমার মেয়ের দুটি মোবাইল ফোনই নিয়ে যায়। আনুমানিক মূল্য পঁচিশ হাজার টাকা, সাইফুল ইসলাম মেয়ে গলায় থাকা দেড় স্বর্ণের চেইন যার আনুমানিক মূল্য এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা এবং ফখরুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম মেয়ে স্ত্রীর শরীর থেকে কাড়প চোপড় টেনে ছিড়ে তাহার শ্লীলতাহানি ঘটায়। তার চিৎকারে আমি ও আমার ছেলে এগিয়ে এসে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি।

আমি ও আমার ছেলেকে সকল সন্ত্রাসীরা সম্মেলিত ভাবে কিলঘুষি ও চর থাপ্পরে মেরে ফেলার চেষ্ঠা করেন।

তারা দেশিও অস্ত্র দিয়ে জখম করে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। আমার ছেলে ও মেয়ের চিৎকারে অপরাপর এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে নানা রকম বিষয়ে হুমকি ধমকি দেয় এবং মামলা  করলে আমার ছেলে ও মেয়েকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়ার হুমকি দেয়।

এলাকাবাসী আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার জন্য হাসপালে নিয়ে য়ায়। আমার স্ত্রী জ্যোসনারা বেগম গত শুক্রবার দিন ১৫/০৯/২০২৩ইং সকাল: ৬.০০ ঘটিকায় স্থানে দেখতে গেলে তাজুল ইসলাম নিজেই আমার স্ত্রীকে মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয় এবং গালাগালি করে। তাজুল ইসলামের খালাতো ভাই (আবুল বাশার), ঐ মুহুর্তে এসে বলেন আপনি উনাকে মারছেন কেনো? অত:পর তাজুল ইসলাম তাকেও হুমকি দেয়। আমার স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়, যার মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। সর্বমোট বিশ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করেছেন।

আমি এবিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা না নিয়ে নানা রকম তালবাহনা করেন।

স্থানীয় সুশিল সমাজের লোকজনের মধ্যমে কথা বলে আদালতে মামলা করতে যাই। নিরুপায় হয়ে আমার আত্নীয় দায়েরে কিছুটা গৌণ হইল। এ বিষয়ে আমার একটি গরুর খামারের টিনশেড লোহার পাইপের পিলার লোহার পাতসহ ঘর খুলে নিয়ে যায় সন্ত্রসী তাজুল বাহিনী।

সাইদ আহমেদ পিতা: হাফেজ

আহম্মেদ মৃত তাহার কাছ থেকে ক্রয় করেন গত: ০৭/১১/২০২১ দলিল নং-৮৭৮০/২১, ও খোরশেদ আলম বাদলের কাছ থেকে ক্রয় করেন ১ শতক ৩২ পয়েন্ট-৮৭৮০/২১ দলিল-২২/১১/২০২১ মোট ডিসিম আধা শতাংশ যেখানে রাইছ মিল মুদির দোকান চায়ের দোকানের করে অর্থ জোগান দিতেন বজলুর রহমান।

উত্তর অংশে খালি জায়গা ২০৮২ শতকের ভিতরে ২ ডিসিম ৮২ পয়েন্ট। অন্য দলিলে আরো আধা শতক ক্রয় করেন বজলুর। 

সন্ত্রাসীরা এখনও গোপনে ও প্রকাশ্যে আমার পরিবারের উপরে যেকোন মুহুর্তে হত্যাকান্ড ঘটনাতে পারে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য:

আসামী তাজুল নানাভাবে অর্থবিত্তের মালিক আবার এমপির আর্শিবাদ পুষ্ট হওয়ায় সে ইউনয়নের সাধারণে সম্পাদক এর পদটিও হাতিয়ে নিয়েছেন। ফলে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় তার পা মাটিতে পড়ে না। এমপিও তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষের ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়েছেন। এদিকে এমপির উপর দায় চাপিয়ে ওসি নিজের ফায়দা হাসিল করে সন্ত্রাসী তাজুলকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে ৯৯৯ এর নির্দেশকেও বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়েছে। বাদি বজলুর রহমান ওসির বিরুদ্ধে সস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর যে আবেদন করেছেন প্রতিকার চেয়ে উধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত পুর্বক ওসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে তাজুল গং আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে, তাতে করে খুন খারাবরি মত দুর্ঘটনার আশংকাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। বিষয়টি স্থানীয় এমপির নিয়ন্ত্রনের বাহিরে বলে প্রতিয়মান হয়েছে। এ বিষয়ৈ অপরাধ বিচিত্রা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যক্ষেনে রেখেছে। প্রয়োজনে আরো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 4 =