মোঃ বিল্লাল হোসেন, দেবীদ্বার প্রতিনিধিঃ- দেবীদ্বারে ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম কর্তৃক সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা ও মারধরের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের উপর হামলা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় অবশেষে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা-৪ নং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই নির্যাতিত সাংবাদিক শফিউল আলম রাজীব বাদী হয়ে দেবীদ্বার উপজেলার ৮ নং ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম(৩৫), উপজেলার খয়রাবাদ গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র বিল্লাল গাজী(৩৩) ও আফসান রুবেল(২৭)কে নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে অভিযুক্ত করে ওই মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. বেলাল মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কুমিল্লাকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব দিয়েছেন।
গত ৩১ অক্টোবর ওই হামলার ঘটনায় দেবীদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ মামলা দায়েরের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপন করে অভিযোগটি এজহারভুক্ত করেননি। মোবাইল ফোনটিও পুলিশ উদ্ধার করে দেয়নি। ফলে ওই মোবাইল ফোন থেকে রাজীবের পারিবারিক ছবি নিয়ে বিভিন্ন জনকে জড়িয়ে এডিট করে অশালীন ভাষায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ-প্রচার করে সম্মানের হানী অব্যাহত রেখেছে।
গত ৩১ আগস্ট সাংবাদিক শফিউল আলম রাজীব- বিরোধী দলের অবরোধের সংবাদ সংগ্রহ এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ’র ইন্টারভিউ নিতে উপজেলা পরিষদে তার সরকারী বাসভবন (গোমতীতে) গেলে উপজেলা চেয়ারম্যানের সামনেই তাকে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও মারধরের ঘটনায় সংবাদ প্রচার করায় তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ, মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
ক্যাপশন:-(১) হামলাকারী জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আলম(৩৫) ও (২) হামলার শিকার শফিউল আলম রাজীব(৩৪) এর ফাইল ছবি আছে।