আল্লাহ বেহেশতী ও দোযখীদের জন্য একটি করে কিতাব লিখে রেখেছেন

0
198

২০৮৮। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহানবী (স) তার দুই হাতে দু’টি কিতাব নিয়ে আমাদের কাছে এসে বলেন : তোমরা কি জান এই দু’টি কিতাব সম্পর্কে? আমরা বলঙ্গ, াম, না, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তবে আপনি আমাদের জানান। তিনি তাঁর ডান হাতের কিতাবের প্রতি ইশারা করে। বলেন ঃ এটা রব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে একটি কিতাব। এতে বেহেশতীদের নাম, তাদের বাপ-দাদার নাম ও তাদের বংশপরিচয় লিপিবদ্ধ রয়েছে। আর শেষে এর যোগফল রয়েছে এবং এতে কমানো বাড়ানো হবে না । অতঃপর তিনি তাঁর বাম হাতের কিতাবের প্রতি ইশারা করে বলেন ঃ এটাও আল্লাহ রাব্বুল আলাম– গ্রীনের পক্ষ থেকে একটি কিতাব। এতে দোযখীদের সকলের নাম, তাদের বাম-দাদার নাম ও বংশপরচয় লি- পিবদ্ধ রয়েছে। এতে কখনো হ্রাস-বৃদ্ধি হবে না। তাঁর সাহাবীগণ বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। বিষয়টি যদি এরূপ চূড়ান্তই হয়ে গিয়ে থাকে তবে আর আমলের কি প্রয়োজন? তিনি বলেন : তোমরা সত্য পথে থেকে ঠিকভাবে কাজ করতে থাক এবং আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের চেষ্টা কর। কেননা বেহেশতী ব্যক্তির অন্তিম কাজ বেহেশতীদের কাজই হবে, আগে সে যে আমলই করে থাকুক না কেন। আবার দোযখী ব্যক্তির অন্তম আমল দোযখীদের আমলই হবে, আগে সে যে আমলইকরে থাকুক না কেন। অতঃপর নবীজি (স) তাঁর দুই হাতে ইশারা করেন এবং কিতাব দু’টি ফেলে দিয়ে বলেন : তোমাদের রব তাঁর বান্দাদের কাজ চূড়ান্ত করে ফেলেছেন। একদল যাবে বেহেশতে আর অপর দল দোযখে ।

২০৮৯। হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স) বলেছেন ? আল্লাহ তাঁর কোন বান্দার কল্যাণ করতে চাইলে তাকে কাজ করার সুযোগ দেন। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল। কিভাবে তিনি তাকে কাজ করতে দেন। তিনি বলেন ঃ তিনি সেই বান্দাকে মৃত্যুর পূর্বে সৎকাজ করার তওফীক দান করেন।

আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান ও সহীহ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three + eighteen =