সহীহ বোখারী হাদিস ৬৭,৬৮,৬৯ — ৬৭। হাদীসঃ হযরত আবূ বাকরা (রাঃ) বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কথা আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, বিদায় হজ্জের দিন হুযুর (সঃ) যখন তাঁর উটের উপর বসা ছিলেন, তখন এক ব্যক্তি তাঁর উটের লাগাম ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপর হুযুর (সঃ) সাহাবাদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, বল তো আজকের দিনটি কোন্ দিন? আমরা সবাই নিশ্চুপ রইলাম। কারণ, অমাদের ধারণা ছিল, হয়ত হুযুর (সঃ) এ দিনটির মূল নাম বাদ দিয়ে অন্য নামকরণ করবেন। সাহবাদেরকে নিশ্চুপ দেখে তিনি বললেন, এটা আরাফাতের দিন নয় কি? আমরা সবাই বললাম জি-হ্যাঁ। তিনি পুনরায় বললেন, এটা কোন মাস? আমরা সবাই এবারো নিশ্চুপ রইলাম। কারণ, আমাদের ধারণা, হয়ত তিনি অন্য কোন নামে এ মাসের নামকরণ করবেন।
তারপর তিনি বললেন, এটা যিলহজ্জ মাস নয় কি? আমরা বললাম জি-হ্যাঁ। অতঃপর হুযুর (সঃ) বললেন, তোমাদের জান মাল এবং ইজ্জত আক্র পরস্পরের জন্য এমনভাবে হারাম করা হয়েছে, যেমন এ মাসে আজকের দিনটিকে এ শহরে হারাম করা হয়েছে। তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তিগণ অনুপস্থিত ব্যক্তিদেরকে আমার এ বাণী পৌছে দিবে। কারণ, হতে পারে তোমাদের উপস্থিত ব্যক্তিগণ এমন লোকদের কাছে আমার এ কথাগুলো পৌঁছাবে, যারা হবে তাদের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী ও হেফাজতকারী। ৬৮। হাদীসঃ হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ওয়াজ নসীহতে সাহাবায়ে কেরামের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখতেন (প্রতিদিন ওয়াজ নসীহত করতেন না)। কেননা, তিনি আমাদের মনে কষ্ট দেয়া বা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করা পছন্দ করতেন না। ৬৯। হাদীস : নবী করীম (সঃ) ইরশাদ করেন, তোমরা যে কোন কাজে সহজ সরল পন্থা অবলম্বন করো, জটিলতা সৃষ্টি করো না। লোকদেরকে শুভ সংবাদ প্রদান করো, অশুভ খবর ছড়ায়ো না।