আল কোরআন থেকে কেয়ামত

0
122

১.মানুষের হিসাব নিকাশের সময় নিকটবর্তী অথচ তারা বেখবর হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।(সুরা আম্বিয়া-আয়াত ১)

২.শিংগায় ফুৎকার দেয়া হবে — একটি মাত্র ফুৎকার এবং পৃথিবী ও পর্বতমালা উত্তোলিত হবে ও চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেয়া হবে(সুরা হাক্কাহ, আয়াত ১৩-১৪)

৩.এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহূর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে(সুরা ইয়াসীন,আয়াত ৫৩)

৪.কবর হতে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে (সুরা ইয়াসীন,আয়াত ৫১)

৫.হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উত্থিত করল? (তাদেরকে বলা হবে) : রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন।(সুরা ইয়াসীন,আয়াত ৫২)

৬.সুতরাং মৃদু গুঞ্জন ব্যতীত তুমি কিছুই শুনবে না (সুরা ত্বহা,আয়াত ১০৮)

৭.এটা এমন দিন, যেদিন কেউ কথা বলবে না এবং কাউকে তওবা করার অনুমতি দেয়া হবে না(সুরা মুরসালাত, আয়াত ৩৫-৩৬)

৮.সেই চিরজীবী চিরস্থায়ীর সামনে সব মুখমণ্ডল অবনমিত হবে এবং সে ব্যর্থ হবে যে জুলুমের বোঝা বহন করবে (সুরা ত্বহা,আয়াত ১১১)

৯.সেদিন কোন কোন মুখ উজ্জ্বল হবে আর কোন কোন মুখ হবে কালো (সুরা আলে ইমরান,আয়াত ১৬)

১০.একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে(সুরা আশ শূরা,আয়াত ৭)

১১.আর যদি আপনি দেখেন যখন তাদেরকে প্রতিপালকের সামনে দাঁড় করানো হবে। তিনি বলবেন : এটা কি বাস্তব সত্য নয়। তারা বলবে, হ্যাঁ আমাদের প্রতিপালকের কসম

(সুরা আনআম,আয়াত ৩০)

১২.অতএব, তোমরা আস্বাদন কর, আমি কেবল তোমাদের শাস্তিই বৃদ্ধি করবো(সূরা নাবা, আয়াত ৩০)

১৩.যারা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে, কিয়ামতের দিন আপনি তাদের মুখ কালো দেখবেন। অহংকারীদের আবাসস্থল জাহান্নামে নয় কি?(সুরা যুমার,আয়াত ৬০)

১৪.তারা বলতো, আমাদের এ পার্থিব জীবনই জীবন, আমাদেরকে পুনরায় জীবিত হতে হবে না(সুরা আনআম,আয়াত ২৯)

১৫.সেইদিন কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে, কেবল তারই প্রতিদান পাবে(সুরা ইয়াসীন,আয়াত ৫৪)

১৬ আমি কেয়ামতের দিন তাদের সমবেত করব, তাদের মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায়, অন্ধ অবস্থায়, মূক অবস্থায় এবং বধির অবস্থায়। তাদের আবাসস্থল জাহান্নাম(সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৯৭)

১৭.হে আমার পালনকর্তা, আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলেন? আমি তো চক্ষুষ্মান ছিলাম। আল্লাহ বলবেন, এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, অতঃপর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ আমি তোমাকে ভুলে যাব(সুরা তোয়াহা, আয়াত ১২৫-১২৬)

১৮.যালিম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আপসোস আমি যদি রাসূলের পথ অবলম্বন করতাম! হায় আমার দুর্ভাগ্য আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম!” (সুরা ফুরকান,আয়াত ২৭)

১৯.হায় আফসোস! এর ব্যাপারে আমরা কতই না ত্রুটি করেছি! তারা স্বীয় স্বীয় বোঝা পৃষ্ঠে বহন করবে। শুনে রাখ, তারা যে বোঝা বহন করবে, তা নিকৃষ্টতর বোঝা। পার্থিব জীবন ক্রীড়া ও কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। পরকালের আবাস মুত্তাকীদের জন্য শ্রেষ্ঠতর। তোমরা কি বোঝ না?(সুরা আনআম, আয়াত ৩১ – ৩২)

হে মহান রব্বুল আলামিন

 কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে সবাইকে আপনার রহমতের মধ্যে আশ্রয় দান করবেন।আমীন

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven + 12 =