১. নামাজ পড়ার জন্য শরীর পোশাক পবিত্র থাকতে হয়, ওজু থাকতে হয়।
২. কোরআন শরীফ পড়ার জন্য শরীর পোশাক পবিত্র থাকতে হয়, ওজু থাকতে হয়।
৩. রাতে বিছানায় ওজু করে ঘুমালে সারারাত একজন ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করে।
৪. সহবাস করে সাথে সাথে ফরজ গোসল করে ফেলা অনেক নেকির কাজ।
৫. সারাদিন ওজু অবস্থায় থাকাও অনেক নেকির কাজ।
মুহাম্মদ সাঃ কে আদর্শ মেনে প্রতি মুহূর্ত আল্লাহর জন্য বেঁচে থাকলে, প্রতি মুহূর্ত নামাজ জিকির আমলের ভিতর থাকলে, সবসময় পবিত্র থাকলে, সব ধরনের পাপ থেকে বেঁচে থাকলে আপনার কোনো যৌন উত্তেজনা থাকবে না। তখন আপনার শরীর মন সবসময় ভালো থাকবে।
আর শয়তান পছন্দ করে অপবিত্র থাকা। শয়তান চাইবে আপনি বাহির থেকে ভিতর থেকে সব দিক থেকেই অপবিত্র থাকেন। শয়তান চাইবে আপনি অশ্লীল চিন্তার ভিতর নিজেকে ডুবিয়ে রাখেন, মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখেন, মেয়েদের কামনার দৃষ্টিতে দেখেন, অশ্লীল চিন্তা করে বারবার হস্তমৈথুন করেন, জেনা করেন, নেশা করেন।
শয়তানের ধোকায় প্রভাবিত হয়ে যারা এইসব করে তারা সাময়িক মজা পায় কিন্তু তাদের বিশেষ অঙ্গের স্বাভাবিকতা হারিয়ে যায়, শরীরের স্বাভাবিকতা হারিয়ে যায়। যা তাদের শরীর আর মনের উপর শুধু খারাপ প্রভাবি ফেলে। তারা পুরোপুরি শয়তানের নিয়ন্ত্রনে থাকে তাই স্ট্রেসে থাকে। তাদের নিজের কাছেই বেঁচে থাকা ভালো লাগে না। তারা নিজের উপরেও জুলুম করে আর অন্যের উপরেও জুলুম করে।
পরিবারের মানুষ মাদকাসক্ত সন্তানকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দিয়ে সুস্থ করে আনলে সে শয়তানের ধোকায় আবার নেশা ধরে। শয়তান খালি তাকে নেশার মজার কথা মনে করাতে থাকে আর আবার নেশা করতে ওসোয়াসা দেয়। কোনো কারনে শয়তানের ধোকায় নেশা ধরে থাকলে সেই কারনের কথা মনে করাতে থাকে যেমন যাকে ভালোবেসেছে তাকে না পাওয়া এই কারনে নেশা ধরে থাকলে সুস্থ হয়ে ফিরার পর শয়তান তাকে আবার না পাওয়ার যন্ত্রনা ভুলে থাকতে নেশা করতে ওসোয়াসা দেয় তাই সে সুস্থ হয়ে আবার নেশা ধরে।
নেশা তার শরীরের উপর কি প্রভাব ফেলেছিল তা শয়তান মনে করাবে না। শয়তান মনে করাবে শুধু নেশা করে কেমন মজা পেয়েছিল আর নেশা কেনো ধরেছিল। নেশা করে শরীর আর মনের উপর কি প্রভাব পড়েছিল তা বোঝার জন্য আল্লাহ বিবেকবুদ্ধি দিয়েছে।
সমস্যা হল ইসলামের কাছে নিজের ইচ্ছে কে আত্মসমর্পণ না করলে কখনো সাথের কারিন জীন কে উপলব্ধি করা যায় না। তখন একজন পুরোপুরি শয়তানের নিয়ন্ত্রনে থাকে। আর শয়তানের ওসোয়াসা কে নিজের মনের চাওয়া মনে করে। আর তাই করতে থাকে। সে তখন নিজেরো ক্ষতি করে আর অন্যেরো ক্ষতি করে। বিবেকবুদ্ধি কাজে লাগায় না।
আর ইসলামের কাছে নিজের ইচ্ছে আত্মসমর্পণ করলে তখন সে নিজেরো ভালো করে আর অন্যেরো ভালো করে।