জান্নাতের প্রাসাদগুলোর নিচে নদী প্রবাহিত থাকবে। বয়স থাকবে ৩৩ কখনো বাড়বে না। অনন্তকাল যুবক থাকবেন, ফিট থাকবেন, ইউসুফ আঃ এর মত সুন্দর থাকবেন।
উচ্চতা হবে আদম আঃ এর। একজন ১০০ জনের সমান খাবার খাবে তা সুগন্ধি ঘাম আর ঢেকুরের সাথে হজম হয়ে যাবে কখনো টয়লেট ধরবে না। জান্নাতি পুরুষদের আল্লাহ হুরদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দিবেন। হুররা এতো সুন্দর হবে পৃথিবীতে উঁকি দিলে পুরো পৃথিবী আলোকিত হয়ে যাবে।
দীনদার দম্পতি পরকালেও একি জান্নাতে থাকবে আর স্ত্রী হবে হুরদের রানী। জান্নাতের ১০০টি স্তর। সবাই আমল অনুযায়ী স্তর পাবে। স্ত্রী যেই স্তর পাবে স্বামী সেই স্তর না পেলে ওই স্তর যেইসব পুরুষ পাবে আল্লাহ তাদের ভিতর কারো সাথে ওই নারীকে বিয়ে দিয়ে দিবেন কারন জান্নাতে কেউ একা থাকবে না।
জান্নাতীদের পোশাক হবে সবুজ। যেখানে যেতে চান উট বা ঘোড়া উড়িয়ে নিয়ে যাবে। জান্নাতীরা কখনো ঘুমাবে না মানে প্রতি মুহূর্ত আনন্দ অনুভব করবে। জাহান্নামে যেমন এক মুহুর্ত কষ্ট ছাড়া নাই ঠিক তেমনি জান্নাতেও এক মুহুর্ত আনন্দ ছাড়া নাই।
হযরত মুহাম্মদ সাঃ জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে সবচেয়ে সম্মানিত জায়গায় অনন্তকাল থাকবেন। এছাড়া সকল নবী রাসুল প্রথম স্তরে থাকবেন।
জান্নাতে প্রতি শুক্রবার একটা বাজার বসবে। ফেরেশতারা হবে বিক্রেতা। প্রতি স্তরের জান্নাতিরা যার যার স্তরে ওই বাজারে মিলিত হবে। উঁচু থেকে উঁচু স্তরের সবকিছু উত্তম থেকে আরো উত্তম হবে। আমাদের প্রতি শুক্রবার মুহাম্মদ সাঃ সহ সকল নবী রাসুলদের সাথে জান্নাতে মিলিত হতে হলে ১০০টি স্তরের প্রথম স্তর পেতে হবে। আর প্রথম স্তর পেতে হলে আমল অনেক অনেক সুন্দর করতে হবে আর ছোট বড় সব ধরনের পাপ ছেড়ে দিতে হবে।
কে কোন স্তর নিশ্চিত করতে পারলো এটাই একজনের চুড়ান্ত সার্থকতা। এই অর্জন হবে তার অনন্তকালের জন্য। আফসাসো হবে অনন্তকালের জন্য।