তেঁতুলিয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ কর্তন শুরু

0
122

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ শীতকালে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বুড়াবুড়ি বøকে গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজ কর্তন (হারভেস্ট) শুরু করা হয়েছে। গত রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ৫জন ক্লাস্টার আকারের কৃষকের কর্তনকৃত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ পরিদর্শনে আসেন উপজেলা কৃষি অফিস।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ জীবন ইসলাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা(এসএএও) মোঃ মোজাম্মেল হক, কৃষক-কৃষাণী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ এ বছর উপজেলায় ১৪০ জন কৃষককে ১ কেজি করে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজসহ ডিএপি সার, এমওপি সার, পলিথিন ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

এই পেঁয়াজ চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে। পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চলেছেন উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ইউনিয়নের বুড়াবুড়ি বøকের মান্দুলপাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন, আনোয়ারা বেগম, মিন্টু হোসেন, মিনা বেগম ও সদর আলী। তাঁরা কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির নতুন উদ্ভাবিত নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে হয়েছেন সফল। তাঁরা প্রত্যেকে ৩৩ শতক জমিতে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তাদের খেতে উৎপাদিত প্রতিটি পেঁয়াজের ওজন কমপক্ষে ২০০-২৫০ গ্রাম। তাদের জমিতে উৎপাদিত পেঁয়াজ দেখে অন্যান্য চাষিরাও এ জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ক্লাস্টার আকারে পেঁয়াজ রোপনকৃত কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, তিনি এই পেঁয়াজ রোপন করে লাভের মুখ দেখছেন। তিনি ইতোমধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০০টাকা দরে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে প্রতি কেজি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। 

বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন- অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাজারে যখন শীতকালীন পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে, ওই সময় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ মানুষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জুলাই-আগস্ট মাসে বীজ বপণ করে ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যেই এ পেঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে রোপণকৃত পেঁয়াজ এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। গাছসহ এ পেঁয়াজ বিক্রি করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তামান্ন ফেরদৌস বলেন, ক্লাস্টার আকারে ৫জন কৃষককে এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়। স¤প্রতি নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন সফলতা দেখেছি। গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজ পরিচর্যা করার জন্য অফিস থেকে উপকরণ দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজ কর্তন করে কৃষকরা যদি চাই শীতকালীন পেঁয়াজও রোপন করতে পারবেন। আমি আশা করছি পরিপক্ক প্রতিটির ওজন ২০০ গ্রাম ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমান পেঁয়াজের বাজারদর ভালো হওয়ায় আমরা কৃষকদের বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি। পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় নাসিক এন-৫৩ জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করছে। এ পেঁয়াজ চাষে কৃষক যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আমদানি-নির্ভরতা কমবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ শীতকালে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায়। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বুড়াবুড়ি বøকে গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজ কর্তন (হারভেস্ট) শুরু করা হয়েছে। গত রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ৫জন ক্লাস্টার আকারের কৃষকের কর্তনকৃত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ পরিদর্শনে আসেন উপজেলা কৃষি অফিস।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌস, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মোঃ জীবন ইসলাম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা(এসএএও) মোঃ মোজাম্মেল হক, কৃষক-কৃষাণী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খরিপ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ এ বছর উপজেলায় ১৪০ জন কৃষককে ১ কেজি করে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজসহ ডিএপি সার, এমওপি সার, পলিথিন ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে।

এই পেঁয়াজ চাষে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে। পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চলেছেন উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ইউনিয়নের বুড়াবুড়ি বøকের মান্দুলপাড়া গ্রামের আরিফ হোসেন, আনোয়ারা বেগম, মিন্টু হোসেন, মিনা বেগম ও সদর আলী। তাঁরা কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির নতুন উদ্ভাবিত নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে হয়েছেন সফল। তাঁরা প্রত্যেকে ৩৩ শতক জমিতে নাসিক এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তাদের খেতে উৎপাদিত প্রতিটি পেঁয়াজের ওজন কমপক্ষে ২০০-২৫০ গ্রাম। তাদের জমিতে উৎপাদিত পেঁয়াজ দেখে অন্যান্য চাষিরাও এ জাতের পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। ক্লাস্টার আকারে পেঁয়াজ রোপনকৃত কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, তিনি এই পেঁয়াজ রোপন করে লাভের মুখ দেখছেন। তিনি ইতোমধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০০টাকা দরে বিক্রি করেছেন। বর্তমানে প্রতি কেজি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। 

বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন- অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাজারে যখন শীতকালীন পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে, ওই সময় নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ মানুষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জুলাই-আগস্ট মাসে বীজ বপণ করে ২৫ থেকে ৩০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যেই এ পেঁয়াজ সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রথম পর্যায়ে রোপণকৃত পেঁয়াজ এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। গাছসহ এ পেঁয়াজ বিক্রি করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তামান্ন ফেরদৌস বলেন, ক্লাস্টার আকারে ৫জন কৃষককে এই গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়। স¤প্রতি নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন সফলতা দেখেছি। গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজ পরিচর্যা করার জন্য অফিস থেকে উপকরণ দেওয়া হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজ কর্তন করে কৃষকরা যদি চাই শীতকালীন পেঁয়াজও রোপন করতে পারবেন। আমি আশা করছি পরিপক্ক প্রতিটির ওজন ২০০ গ্রাম ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমান পেঁয়াজের বাজারদর ভালো হওয়ায় আমরা কৃষকদের বিক্রির পরামর্শ দিচ্ছি। পেঁয়াজের সংকট কমাতে সম্ভাবনাময় নাসিক এন-৫৩ জাত চাষে কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করছে। এ পেঁয়াজ চাষে কৃষক যেমন লাভবান হবেন, তেমনি আমদানি-নির্ভরতা কমবে এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three − one =