বিএনপি কী চরমপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়

0
130

রেললাইন কেটে দুর্ঘটনা সৃষ্টি এবং ট্রেনে, বাসে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা ইত্যাদি কীশের লক্ষণ? বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি কী নাশকতা, চোরাগোপ্তা হামলা ও অগ্নিসন্ত্রাস করে চরমপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়? বাংলাদেশে চরম পন্থা কখনো সফল হয়নি।

স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের পর জাসদ-গণবাহিনী, নকশাল, সর্বহারা পার্টি, চরমপন্থী কমিউনিস্ট, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, জামায়াত-শিবির ইত্যাদি চরমপন্থীরা সফল হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সকল চরমপন্থীদের আশ্রয়স্থল বা অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। বিএনপির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তারা রাজনীতিতে টিকে আছে।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন জারি করে।

১৯৮৪ সালের ১০ মে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেগম জিয়া বিএনপিকে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলে রূপান্তর করেছিলেন। বর্তমানে বেগম জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলটি গণতান্ত্রিক পন্থা পরিহার করে চরম পন্থার পথে ধাবিত হচ্ছে।

বর্তমান আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের যুগে চরম পন্থা সম্পূর্ণভাবে অচল। চরম পন্থা কখনো কোন মঙ্গল এনে দিতে পারে না। শান্তিপ্রিয় জনগণ চরমপন্থাকে ঘৃণা করে। কোন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল চরমপন্থী হতে পারে না। কোন মুসলমান চরমপন্থী হতে পারেন না।

চরমপন্থা ইসলামবিরোধী, দেশদ্রোহী ও রাষ্ট্র দ্রোহী কার্যকলাপ। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ জানাচ্ছি, চরম পন্থা ছেড়ে বেগম জিয়ার মতো গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন-সংগ্রাম করুন। সফলতা একদিন আপনাদের দরজায় কড়া নাড়বে। যেমন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সফল হয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × one =