মানুষ সৃষ্টিগত ভাবেই স্বার্থপর

0
99

তাই মানুষের কাছ থেকে আশা- প্রত্যাশা এবং তাদের প্রতি অভিযোগ সবটাই বাদ দিন।

কারণ আপনার আশা- প্রত্যাশা যত বাড়বে এবং আপনি তত আশাহত হবেন এবং অপমানিত বোধ করবেন। কেননা মানুষ ঠিক ততটুকু আপনাকে দিবে যতটা আপনি তাকে দিয়েছেন, হয়তো তাও দিবে না যদি তার স্বার্থ এখানে জড়িত থাকে।

এবং আপনি এটাও কখনও ভাববেন না যে আপনি কারো থেকে কিছু দিয়ে তার বিনিময়ে আপনিও কিছু পাবেন। যেকোনো মানুষের জন্য, যাই করেন না কেন তা শুধু দায়িত্ববোধ থেকেই করবেন। তাহলে মানসিক ভাবে শান্তি পাবেন।

আর যখনই এর বিনিময় খুজতে যাবেন তখনই আশাহত হবেন, হতাশায় ভুগবেন এবং নিজেকে ব্যর্থ মনে হবে।

আশা যদি করতেই হয়, কোনো কিছু যদি চাইতেই হয় তাহলে আপনার সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তয়ালার কাছে চান এবং ভরসা রাখুন। তাহলে অন্তত কোনো হতাশা এবং আফসোস কাজ করবে না।

ইনশাআল্লাহ একদিন না একদিন পাবেনই আর যদি নাও পান তাহলে বুঝে নিবেন সেটা অবশ্যই আপনার জন্য কল্যাণকর ছিল না।

 (১) উযুর নিয়ত করা অর্থাৎ উযুকারী মনে মনে এই নিয়ত করবে যে,পবিত্রতা অর্জন করা ও নামাজ জায়েজ হওয়ার জন্য আমি উযু করছি।

– বুখারি ৬৬৮৯

(২) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে উযু আরম্ভ করা।

– নাসায়ি ৭৮

(৩) উভয় হাত পৃথকভাবে কব্জিসহ তিনবার ধোয়া।

– বুখারি ১৫৯

(৪) মিসওয়াক করা। যদি মিসওয়াক না থাকে তাহলে আঙ্গুল দ্বারা দাঁত মাজা।

– তিরমিজি ২৩

(৫) তিনবার কুলি করা।

– বুখারি ১৮৫

(৬) তিনবার নাকে পানি দেয়া এবং নাক সাফ করা।

– সাহিহ ইবনে হিব্বান ১০৭৭, বুখারি ১৮৫

(৭) ততসঙ্গে প্রতিবারই নাক ঝারা।

– মুসলিম ৫৬০

(৮) প্রত্যেক অঙ্গকে পূর্ণভাবে তিনবার ধোয়া।

– বুখারি ১৫৯

(৯) দুই হাতে মুখ ধোয়া এবং মুখমন্ডল ধোয়ার সময় দাঁড়ি খিলাল করা।

– তিরমিযি ৩১

(১০) হাত ও পা ধোয়ার সময় আঙ্গুলসমুহ খিলাল করা।

– তিরমিযি ৩৮

(১১) একবার সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করা।

– তিরমিযি ৩৪

(১২) .উভয় কান মাসেহ করা ।উল্লেখ্য,কানের ছিদ্রের মধ্যে কনিষ্ঠাঙ্গুলি ঢুকিয়ে এবং ভিতরদিকের অবশিষ্টাংশে শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা মাসাহ করা।

– আবু দাউদ ১৩৫

(১৩) উযুর অঙ্গসমুহ হাতদ্বারা ঘষে-মেজে ধোয়া।

– সহিহ ইবনে খুযায়মা ১১৮

(১৪) এক অঙ্গ ধোয়ার পর অন্য অঙ্গ ধুতে বিলম্ব না করা।

– আবু দাউদ ১৭৩

(১৫) তরতীবের সাথে অযু করা। অর্থাৎ অযুর অঙ্গসমুহ ধোয়ার সময় ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।

– আবু দাউদ ১৩৭

(১৬) ডানদিকের অঙ্গ আগে ধোয়া।

– বুখারি ১৬৮

(১৭) শীত অথবা অন্য কোনো কারণে যখন অযু করতে ইচ্ছা না হয় তখনও অযুর অঙ্গসমুহ উত্তমরূপে ধুয়ে অযু করা।

– তিরমিযি ৫১

(১৮) অযুর মধ্যে নিম্নক্ত দোয়াটি পড়া: اللهم اغفر لي ذنبي ووسع لي في داري وبارك لي في رزقي এবং অযু শেষ করে কালেমায়ে শাহাদাত পড়া।

– মুসলিম ২৩৪

(১৯) অতঃপর এই দোয়া পড়া: اللهم اجعلني من التوابين واجعلني من المتطهرين

– তিরমিজি ৫৫

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 3 =