খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অবৈধ লেনদেন ও দালালদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স

0
102

বিশেষ প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নির্বিঘ্নে দালাল ও হয়রানি মুক্ত সেবা দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতার সহিত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-সহকারি পরিচালক মোঃ আব্দুল মোত্তালেব সরকার।

তিনি দাবী করে বলেন, আমি আসার পর থেকে গ্রাহক সেবার মান আগের তুলনায় অনেক উন্নতি করেছি। আমার প্রতিষ্ঠানকে দালাল এবং অবৈধ লেনদেনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি, গত ২ বছর আগের তুলনায় আমি যোগদান করার পর থেকে সেবা গ্রহীতাদের সকল প্রকার হয়রানি মুক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, আমি আসার পর থেকে যে কোন সময়ের তুলনা সেবার মান অনেক ভালো দিয়ে যাচ্ছি,সত্য না মিথ্যা যাচাই করে দেখতে পারেন।

তিনি আরো জানান, আমি খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসে যোগদানের পর প্রতি মাসে স্বচ্ছতার সহিত  আগের তুলনায় অধিক পাসপোর্টের কাজ সম্পাদন করে যাচ্ছি এবং সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিক সহযোগিতায় কোন ধরনের অবৈধ লেনদেন/অনিয়ম ছাড়াই সকল ধরনের সেবা গ্রহীতাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আব্দুল মোত্তালেব আরো জানায়,আমার অফিসটি পরিচালনায় লোক বলের অভাব তারপরও সেবা গ্রহীতারা যেন কোন প্রকার হয়রানির শিকার না হয়ে সহজে সেবা পেতে পারে এব্যপারে অগ্রাধিকার দিয়ে যাচ্ছি।

সরেজমিনে পাসপোর্টের জন্য ফিঙ্গার টেস্ট দিতে আসা জেলার দীঘিনালা উপজেলার বাবুলের সাথে কথা হয় খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিস থেকে বের হয়ে বাবুল জানান,বর্তমান (উপ-সহকারি পরিচালক) অফিসার আসার পর থেকে আগের মতো দালাল বেশি দেখা যায় না,তিনিও খুব আন্তরিক লোক, তিনি আমাকে পাসপোর্টের বিষয়ে যথেষ্ট হেল্প করেছেন ।
পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা মাটি রাঙ্গার আব্দুল ওহাব জানান,আমি কোন প্রকার দালাল ছাড়া নিজেই স্ব-শরীরে অনলাইনে দরখাস্ত করে ফিঙ্গার দেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে আজ পাসপোর্ট হাতে পেলাম।

খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসের আশপাশের স্হানীয় দোকানদার সহ স্হানীয় এলাকায় বসবাসরত বেশ কয়েকজন প্রত্যেক্ষদর্শীর সাথে পাসপোর্ট অফিসের সেবারমান নিয়ে প্রশ্ন করলে তারা জানান, আগের তুলনায় খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি তো বন্ধ হয়েছে বর্তমানে দালালও তেমন চোখে পড়ে না,তারা জানান বর্তমান অফিসারটাও বেশ ভালো বলে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজনের মুখে শোনা যায়।
পূর্ণ্যতি চাকমা নামের এক নারী জনান, এই অফিস থেকে আমি আমার স্বামী দুই সন্তানে পাসপোর্ট ১ মাস ৫ দিনে পেয়েছি।
এখন আবার আমার ভাইয়ের ফিঙ্গারের জন্য আসছি, কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোন ঝামেলা বা হয়রানি নেই বলে জানান,
বর্তমানে খাগড়াছড়ি পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা পাহাড়ি বাঙ্গালি গ্রাহকরা সেবারমান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen − 7 =