লুটপাটের কালো বিড়াল প্রকৌশলী হানজালা কেন বহাল তবিয়তে

0
740

বৈরাম খাঁ: দুর্নীতি-অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালার অপসারণ দাবি করেছে কয়েকটি সংগঠন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানায়। আমাদের সংঘ সামাজিক সাংস্কৃতিক সোসাইটি (রেজিঃ নং-১০৫৭৪)’র সভাপতি মো. বাহরানে সুলতান বাহার এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রথক ব্যানারে যৌথ কর্মসূচি পালিত হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ ও প্রজন্ম লীগ অংশ নেয়। বক্তৃতা করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, ন্যাপ ভাসানী’র চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ, জনতা ফ্রন্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। অথচ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়েই অতিরিক্ত মেয়াদে চাকুরির পর চুক্তি বাগিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। পাশাপাশি দুর্নীতি-লুটপাটের মাধ্যমে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা মুক্তিযোদ্ধা দাবির বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা হলেও সেটির নিষ্পত্তি দীর্ঘায়িত করতে নানা অপকৌশল চালাচ্ছেন।
তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, অতিরিক্ত মেয়াদে দায়িত্ব শুরু পর থেকেই দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এবং লুটপাটের স্বর্গভূমিতে পরিণত করেন। সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার ও আসবাবপত্র সরবরাহের নামে ব্যাপক লুটপাট চলছে। শিক্ষা প্রকৌশলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করছে হানজালার পরিবার। হানজালার বড় ভাই দেওয়ান মোহাম্মদ আবদুল হাই নিজেই একজন বড় ঠিকাদার হলেও তিনি অধিকাংশ কাজ বণ্টন করে থাকেন। তাছাড়া হানজালার ভাইয়ের বউ, ভাতিজা, খালাতো ভাই, বন্ধু-বান্ধবের মালিকানাধীন ফার্ম একচেটিয়া কাজ পাচ্ছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে দুর্নীতির বরপুত্র হানজালাকে প্রটেকশন দিচ্ছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন। তারা অবিলম্বে দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাকে চাকুরি থেকে অপসারণ করে তার অবৈধ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
তা সত্ত্বে এখনো বহাল তবিয়তে আছে প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা। থেমে নেই শিক্ষা অধিদপ্তরের হরিলুট। অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে হানজালার সীমাহীন দুর্নীতি চিত্র।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি চাকরিজীবীদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা সুযোগ-সুবিধা নেয়ার অভিযোগ পুরনো। এ অভিযোগে প্রভাবশালী কর্মকর্তাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনেকের বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। আবার অনেকে কূট কৌশল, হাইভোল্টেজ তদ্বির আর জালিযাতির আশ্রয় নিয়ে স্বপদে বহাল রয়েছেন। এমনকি বাগিয়ে নিয়েছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও। তারা কেবল প্রতারণা করে রাষ্ট্রের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন না, একই সঙ্গে দুর্নীতি-অনিয়মে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন। এদেরই একজন দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা। শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা হানজালার চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর পর চুক্তিতে অতিরিক্ত দুই বছর থাকার পথ সুগম করেছেন। পুরনো রাজনৈতিক কানেকশনে মন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আর সচিবের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক প্রচার করেই মহাক্ষমতাধর বনে আছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরে তিনি ‘দুর্নীতির বরপুত্র’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ ‘পার্সেন্টম্যান’ বলে সম্বোধন করেন।
মুক্তিযোদ্ধার অন্তরালে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হানজালা
দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালার আদি নিবাস মানিকগঞ্জ জেলাধীন হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর গ্রামে। তিনি সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে চাকুরিতে যোগদান করেন ১৯৮১ সালে ১২ ডিসেম্বর। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান প্রকৌশলী হন। নিয়মানুযায়ী তার চাকরির মেয়াদ পূর্ণ হবার কথা ২০১৫ সালের ৭ জুলাই। কিন্তু বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পর জালিয়াতি আর ধূর্ততার আশ্রয় নেন প্রধান প্রকৌশলী হানজালা। নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেই চাকরির এক বছর বর্ধিত মেয়াদ বাগিয়ে নেন। সেসময় নিজের দাবির সপক্ষে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ উপস্থাপন করেন। হানজালার মুক্তিযোদ্ধা বনে যাবার গল্প নিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে সন্দেহ ছিলো শুরু থেকেই। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগও দেয়া হয়। তবে কোনো অভিযোগই আমলে নেয়া হয়নি। বরং বিভিন্ন মহলে মোটা অংকের উৎকোচ আর নানা কূট কৌশলে বর্ধিত মেয়াদ শেষে আরো দুই বছরের চুক্তি বাগিয়ে নেন ম্যানেজপটু হানাজালা।
সংশ্লিষ্টদের মতে, সরকারি বিধি মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধাদের চাকুরিতে যোগদানের সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। অন্যথায় তিনি মুক্তিযোদ্ধা হলেও চাকুরির বর্ধিত সময়-সুযোগ ভোগ করতে পারবেন না। ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্মসচিব গোলাম রহমান মিঞা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি সব মন্ত্রনালয় ও বিভাগে প্রেরণ করা হয়। ‘চাকুরিরত মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা’ শিরোনামের ওই চিঠিতে চাকুরিতে যোগদানের সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা না দিয়ে যারা সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা অতি দ্রুত বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে হানাজালা চাকরিতে যোগদানের সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেননি। চাকরিতে প্রবেশের সময় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ঘোষণা না দেওয়ায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ৬৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বর্ধিত সময়ে চাকরির সুযোগ সুবিধা বাতিল করেছে সরকার। অথচ হানজালারা রয়ে গেছেন অধরা। জানা গেছে, তার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রটি ‘সাময়িক সনদপত্র’। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সাময়িক সনদপত্র বা মূচলেকা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই সংক্রান্ত অনুশাসন জারি আছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রতি স্বাক্ষরিত সনদ কিংবা লাল মুক্তিবার্তায় তালিকাভুক্তরাই কেবল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সুবিধা পাবার দাবিদার। অথচ হানজালার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্রে প্রধানমন্ত্রীর কোন প্রতিস্বাক্ষর নেই। লাল মুক্তিবার্তায়ও হানজালার নাম নিবন্ধিত নেই। তারপরও তিনি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হলেন শিক্ষা অধিদপ্তরের সবার কাছে এটি বিস্ময়। প্রাপ্ত তথ্য মতে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন মহলে লাখ লাখ টাকা উৎকোচ দিয়ে ভুয়া সাময়িক সনদপত্র দেখিয়ে দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালা রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। দেশব্যাপী চলমান মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে হানজালার জালিয়াতির মুখোশ উন্মোচন আদৌ সম্ভব হবে কি-না, তা নিয়ে সন্দিহান সকলে।
হরিলুটের আখড়া শিক্ষা অধিদপ্তর
সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার ও আসবাবপত্র সরবরাহের দায়িত্ব শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের। বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কারো কারো কাছে টাকার খনি। দুর্নীতিবাজ আর জালিয়াতকারীদের নিয়ে সিন্ডিকেট করেই চলে হরিলুট। দেওয়ান হানজালা প্রধান প্রকৌশলীর পদে বসার পর সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। চুক্তিতে নিয়োগ পাবার সেটি স্বৈরাচারী রূপ নিয়েছে। সীমাহীন লুটপাট হলেও দেখার কেউ নেই। এমনকি প্রতিবাদ করারও জো নেই। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আর সচিবের সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ প্রচার করে হানজালা এবং তার ঘনিষ্ঠরা অধীনস্থদের দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগ মতে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে দুর্নীতি ও অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে বাসা বেঁধে আছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সীমাহীন কমিশন বণিজ্য। উন্নয়ন কাজের দরপত্র প্রক্রিয়ার শুরুতেই নির্দিষ্ট হারে কমিশন চলে যায় প্রধান প্রকৌশলীর পকেটে। কমিশন ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান কাজ পায় না বলে ভুক্তভোগী কয়েকজন ঠিকাদার জানান। তাদের ভাষ্যানুযায়ী মোটা অঙ্কের কমিশনের বিনিময়ে কাজ দেওয়া, সর্বনিম্ন দরদাতাকে জোরপূর্বক টেন্ডার প্রত্যাহার, প্রকল্প পিছিয়ে বাজেট বাড়ানো, নির্মাণকাজে অবহেলা, ভুতুড়ে কাজের নামে বিল ও ভুয়া ভাউচার তৈরি করে সরকারী অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মিত ঘটছে। গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা প্রচার করেই হানজালা প্রতিষ্ঠানটিতে রাম-রাজত্ব কায়েম করে রেখেছেন। তিনি এক সময় ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেটিই এখন মোক্ষম অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। এ কারণে হানজালা ড্যামকেয়ার। এর আগে বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলেও তিনি বিএনপি ঘরানা দাবি করে তৎকালীন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনের সঙ্গে দহরম-মহরম সম্পর্ক গড়ে তুলে ফায়দা নেন। একটি সূত্র মতে, প্রধান প্রকৌশলী এবং তার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত কয়েক নির্বাহী প্রকৌশলী ভুয়া বিল ভাউচারে কোটি কোটি টাকা লোপাটে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা একই কাজে একাধিক বিল করেছে। আবার কাজ না করেও টাকা উত্তোলন করেছে। তাদের আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের ঠিকাদারী ফার্মের নামে প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার কাজ নিয়ে তা না করে আত্মসাত করেন। বিগত কয়েক বছরের ফাইলপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে সাগর চুরির মত অনেক ঘটনা উদঘাটন সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি। এ নিয়ে গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তের উদ্যোগ নিলেও রহস্যজনক কারণে তা ধামাচাপা পড়ে আছে।
কার্যক্রমে নৈরাজ্যের নেপথ্যে
শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যক্রমে নৈরাজ্য চলছে। কোন নীতিমালা কিংবা নিয়ম কানুন নয়, ব্যক্তির মর্জিতেই চলছে সবকিছু। এর প্রভাবেই অনিয়ম-দুর্নীতি ফ্রি স্টাইল রূপ নিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, দেওয়ান মোহাম্মদ হানজালাকে প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগের মধ্য দিয়ে অনিয়মের বীজ বপণ করা হয়। কেননা, পদোন্নতি না দিয়ে এবং ৫জন সিনিয়র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে সুপারসিড করে ২০১৪ সালে তাকে প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগ দেয়া হয়। অন্যদিকে গত ৩-৪ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ শূন্য রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে নিজের ক্ষমতাকে পোক্ত রাখতেই হানজালা নানা কূট কৌশলে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন। এমনকি বেনামে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ পাঠিয়ে অনেক সিনিযর প্রকৌশলীকে কব্জা করে রেখেছেন। তাছাড়া অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি না হওয়ায় তত্ত্বাবদায়ক প্রকৌশলীসহ নিচের পদগুলিতে পদোন্নতি আটকে আছে। অন্যদিকে ৭টি নির্বাহী প্রকৌশলীর পদ শূন্য থাকলেও পদোন্নতির উদ্যোগ নেই। অভিযোগ রয়েছে একেকটি পদের জন্য কাঙ্খিত ২৫-৩০ লাখ টাকা না পাওয়ায় পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রকৌশলীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। এদিকে স্থপতি ও ড্রাফটসম্যান পদে নিয়োগের ব্যবস্থা না করে নিয়মবহির্ভূতভাবে পছন্দসই অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। ঠিকাদার এবং মাঠ পর্যায়ের নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বহিরাগতদের দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের নকশা করানো হচ্ছে। একইভাবে গাড়ি চালক পদ শূন্য থাকলেও কমিশন পেয়ে মাস্টাররোলে নিযুক্তদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান হানজালার স্বেচ্ছাচারিতার নমুনা মিলে সাম্প্রতিক গণবদলি ঘটনায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 − 3 =