অবি ডেস্ক: অদ্য ২৫শে জুন সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলন দুদককে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে সংগঠনের সভাপতি মোঃ হারুন-অর-রশীদ খান এর সভাপতিত্বে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, সৈয়দ হারুন অর রশিদ, আবুল কালাম, হানিফ বাংলাদেশী, নুরুল ইসলাম বিপ্লব প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির ভাষনে জনাব হারুন বলেন, দুদক দুর্নীতিমুক্ত হলে বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে। স্বাধীনতার পর হইতে অদ্যবধি পর্যন্ত প্রতিটি সরকার দুর্নীতি লালন পালন করেছে। এর প্রধান কারন হলো, রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে সবগুলি সরকার প্রধান, তাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন, ভৃত্যগণ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পরে। ফলশ্রতিতে দুর্নীতি প্রতিরোধের ক্ষমতা সরকার প্রধানের হাতে থাকে না। শুধু তাই নয় তাদের অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার অভিলাষ চরিতার্থ করতে, সাহায্যকারী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক দালাল সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের অনুচরদেরকে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা উপার্জনের সুযোগ করে দিতে হয়।
এই ভাবে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানিকতা লাভ করে।
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রন করার প্রয়াসে দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা হলেও দুদক দুর্নীতি দমনে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারে নাই বরং দুর্নীতি বাজরা দুদককে দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছে। তার সর্বশেষ উদাহরন পুলিশের ডি.আই.জি মিজান ও দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাসির এর মধ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের ঘটনা, সাথে দুদক চেয়ারম্যান বললেন, দুদকের ৮৭৪ জন কর্মীর সততার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি না। এমতাবস্থায়, জাতি দুর্নীতি নির্মুলে দুদকের কর্মকান্ডে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হাইকোর্টের বিচারপতিদের দিয়ে কমিশন গঠন করে দুদক’কে শুদ্ধি অভিযান ও দুদক’কে আরো সক্রিয় করতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের’কে দুদকের কর্মকান্ড পরিচালনায় জড়িত করিতে হইবে।
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, মার্কা ব্যবসা ও নমিনেশন বানিজ্যই দুর্নীতির মূল। মার্কা ব্যবসা বন্ধ না হলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না। মানিলন্ডারিং দেশের প্রধান সমস্যা, মানিলন্ডারিং কারীদের গ্রেফতার করে তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে আইনের আওতায় নিয়ে দেশের সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।