হাবিব সরকার স্বাধীন: রাজধানীর গুলশান বনানীতে দাপটের সাথে স্পা ব্যবসার অন্তর আড়ালে চলছে মাদকের হাট বাজার। গুলশান বনানীর দাপুটে স্পা ব্যবসায়ীদের অশ্লীল কর্মযজ্ঞের প্রতিষ্ঠান গুলো কোন ভাবেই নির্মূল করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা। তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদকর্মী পরিচয় পাওয়া মাত্রই হিংস্র রূপে ক্ষেপে যান। শুধু তাই নয় নিজেকে গোপালগঞ্জের ডিআইজিসহ নামিদামি সম্মানী ব্যক্তি রাজনীতিবিদদের নাম প্রকাশ করেন পায়েল। রোড নং ৪, হাউস ৩, ব্লক এফ, দ্বিতীয় তলা প্রবেশ মাত্রই নারীদের হইচই। আগে আবাসিক বলে পরিচালনা করলেও এখন ডিজিটাল কায়দায় সেটাকে পরিচালনা করা হচ্ছে স্পা হিসেবে। এবং মোবাইলের প্রোফাইল খুলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ছবি দেখান প্রতিবেদককে। এই হচ্ছে বর্তমান স্পা ব্যবসায়ীদের অবস্থা। গুলশান বনানীর চিহ্নিত পায়েল নামের স্পা ব্যবসায়ী। সিনিয়র সাংবাদিক, ডিআইজিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে নিজেকে উচ্চমানের ক্ষমতাবান বলে দাবি করেন স্পা ব্যবসায়ী পায়েল। ইতিপূর্বে অনেক ছবি এবং তার কিছু বক্তব্য রেকর্ডিং রয়েছে আমাদের দপ্তরে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান থাকলেও দফায় দফায় অভিযানের পরেও অদৃশ্য কারণে অধরা থেকে যাচ্ছে মূল স্পা ব্যবসায়ী চক্রটি। নামধারী মাদক ব্যবসায়ীরা এখন স্পার আড়ালে মাদকের ব্যবসা করে যাচ্ছেন ডিজিটাল কায়দায়। সরোজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় অল্প বয়সী তরুণীদের দিয়ে পরিচালনা করছেন সাথে রয়েছেন নানান ব্র্যান্ডের মদ ইয়াবাসহ মাদক।
মাঝেমধ্যে দায়ভার এড়াতে কিছু প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্টরা হানা দিলেও নামমাত্র আর্থিক জরিমানা করে দায়িত্ব সাড়ছে ফলে বন্ধ হচ্ছে না অনৈতিক কাজে লিপ্ত আখড়াগুলো। এতে করে অশ্লীল কর্মকান্ড নির্মূল তো হচ্ছে- ই- না বরং অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ব্যক্তিদেরকে আরো উদ্ভূদ্ধ করে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে মিশ্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা।
বসবাসকারীরা বলছে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অসামাজিক কাজে লিপ্ত প্রতিষ্ঠান গুলো ঘুরে ফিরে ডিপ্লোম্যাটিক জোন এলাকায় নির্মূলকারী সংস্থার চোখের সামনে চলমান রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ জটিলতা এড়াতে সাময়িক স্থান পরিবর্তন করলেও সিংহ ভাগ প্রতিষ্ঠান প্রশাসনের পৃষ্ঠপোষকতায় দাপটের সাথে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।