ইসলাম দৃষ্টি সংযত রাখতে বলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বলে আর শয়তান মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখতে, মেয়েদের কামনার দৃষ্টিতে দেখতে, হস্তমৈথুন করতে জেনা করতে ওসোয়াসা দেয়। এমন কেউ একশো জন নারীকে
ভোগ করলেও তখন তার অতৃপ্তি আরো বাড়বে। সে কখনো কোনো নারীর দায়িত্ব
নিতে পারবে না কারন তার নতুন নতুন মেয়ে ভালো লাগতেই থাকবে। আর ইসলামের কাছে নিজের ইচ্ছে কে আত্মসমর্পণ করলে একজন পরনারীর ক্ষেত্রে দৃষ্টি সংযত রাখবে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবে, নামাজ জিকির আমলের উপর থাকবে, বিয়ে করে জীবনসঙ্গী কে আল্লাহর জন্য ভালোবেসে যাবে। শয়তান তার মস্তিষ্কে কোনো নারীর কথা ভাবাতে পারবে না। ঠিক একই ভাবে শয়তানের ধোকায় সম্পদের নেশায় মত্ত থাকলে সে খালি সম্পদ বাড়াতেই ব্যস্ত থাকে। কত কোটি টাকা হলে সে সন্তুষ্ট হবে সে নিজেও জানে না। এমন মানুষ কখনো নামাজ জিকির আমল করতে পারে না। ভাই বোনকে ভাগ দিতে চায় না। বাপ চাচাদের মধ্যে তাদের সন্তানদের মধ্যে মারামারি হয়। সম্পদের জন্য ব্লেক মেজিক করে। যদি সে বিশ্বাস করত তার রিজিক মৃত্যু পর্যন্ত বরাদ্ধ আর অন্যায়ভাবে সম্পদ নিজের করলে পরকালে জাহান্নামে যেতে হবে তাহলে সে কখনো অন্যের সম্পদ নিজের করতে চাইতো না। ভাই বোনের সম্পদ নিজের করতে চাইতো না। ভাই ভাইয়ের সম্পদ নিজের করতে চাইতো না। ইসলামের কাছে নিজের ইচ্ছে কে আত্মসমর্পণ না করলে একজন কখনো শয়তানের ধোকা বুঝে না। মোহাম্মদ সাঃ কে আদর্শ মেনে প্রতি মুহূর্ত আল্লাহর জন্য বেঁচে থাকতে পারলে তখন উপলব্ধি করা যায় দুনিয়া তুচ্ছ। আসল জীবন পরকাল।