আমরা কাকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছি

0
311

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সূরা কাফ 50:16 وَ لَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ وَ نَعۡلَمُ مَا تُوَسۡوِسُ بِہٖ نَفۡسُہٗ ۚۖ وَ نَحۡنُ اَقۡرَبُ اِلَیۡہِ مِنۡ حَبۡلِ الۡوَرِیۡدِ ﴿۱۶﴾ আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার

প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমি জানি। আর আমি* তার গলার ধমনী হতেও অধিক কাছে। * ইবনে কাসীর বলেন, এখানে نحن বলে আল্লাহর ফেরেশতাদেরকে বুঝানো হয়েছে। [১] এখানে نحن বা ‘আমরা’ বলে ফেরেশতাদেরকে বোঝানো হয়েছে। যাতে পরবর্তী আয়াতের সাথে অর্থের মিল হয়। তখন ঐ সমস্ত ফেরেশতাই উদ্দেশ্য হবে যারা মানুষের প্রাণ হরনের জন্য বান্দার কাছে এসে থাকে। আমার ফেরেশতাগণ তাদের ঘাড়ের শিরার কাছেই অবস্থান করছে। তারা আমার নির্দেশ মোতাবেক যে কোন সময় তাদেরকে পাকড়াও করবে। ফেরেশতাগণ সদাসর্বদা মানুষের সাথে সাথে থাকে। তারা মানুষের প্রাণ সম্বন্ধে এতটুকু ওয়াকিবহাল, যতটুকু খোদ মানুষ তার প্ৰাণ সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল নয়। [ইবন কাসীর] সূরা কাফ 50:17 اِذۡ یَتَلَقَّی الۡمُتَلَقِّیٰنِ عَنِ الۡیَمِیۡنِ وَ عَنِ الشِّمَالِ قَعِیۡدٌ ﴿۱۷﴾ যখন ডানে ও বামে বসা দু’জন লিপিবদ্ধকারী পরস্পর গ্রহণ করবে। [১] يتلقي শব্দের আভিধানিক অর্থ গ্রহণ করা, নেয়া এবং অর্জন করে নেয়া। المتلقيان বলে দুইজন ফেরেশতা বোঝানো হয়েছে, যারা প্রত্যেক মানুষের সাথে সদাসর্বদা থাকে এবং তার ক্রিয়াকর্ম লিপিবদ্ধ করে। عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ অর্থাৎ তাদের একজন ডান দিকে থাকে এবং সৎকর্ম লিপিবদ্ধ করে। অপরজন বাম দিকে থাকে এবং অসৎকর্ম লিপিবদ্ধ করে। قعيد শব্দটির অর্থ উপবিষ্ট। [বাগভী, কুরতুবী] সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহু আকবার লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মালিকুল হাক্কুল মুবিন ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً “আল্লহু আকবার কাবীরা- ওয়াল হামদুলিল্লা-হি কাসীরা- ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি বুকরাতান ওয়া আসীলা-” (অর্থাৎ- আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, বড়। সব প্রশংসা আল্লাহর। আর সকাল ও সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা বর্ণনা করতে হবে।)। সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বরঃ ১২৪৫ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির ” سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ ‏”‏ ‏. সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর সৃষ্টি সংখ্যার সমান), সুবহানাল্লাহি রিদা নাফসিহী (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর সন্তুষ্টি মোতাবেক), সুবহানাল্লাহি যিনাতা আরশিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর আরশের ওজনের সমপরিমাণ) এবং সুবহানাল্লাহি মিদাদা কালিমাতিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর কালাম সমুহের সমপরিমাণ)। ইবনে মাজাহ ৩৮০৮ লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জালিমীন আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার আললাহুমমা ইন্নি আউ’জুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা- লা- আ’লামু। (মুসনাদে আহমাদ, ছহিহ জামে) অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শিরক করা হতে তোমারই নিকট আশ্রয় চাই। আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ‏ “‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى ‏”‏ ‏ বাংলা উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা” নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’আ করতেন, “হে আল্লাহ্‌! তোমার কাছে আমি হিদায়াত, তাকওয়া , চরিত্রের নির্মলতা ও আত্মনির্ভরশীলতা প্রার্থনা করি”। জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৮৯ “আল্ল-হুম্মা আ-তিনা- ফিদ্দুন্ইয়া- হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াকিনা- ‘আযা-বান্ না-র”। অর্থাৎ- ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতে কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে বাঁচিয়ে রাখো।’ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৭৩৩ ” اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ ‏”‏ ‏ “আল্লাহুম্মা আঈন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা” (অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ‘ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন)। আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ালিল মু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনাত, ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাত। আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা;ফু আন্নি ‘হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল! ক্ষমা পছন্দ করো তাই আমাকে ক্ষমা করো’ আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া ঝুল্লাহু ওয়া আউয়ালাহু ওয়া আখিরাহু ওয়া আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু।’ (মুসলিম, মিশকাত)অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমার ছোট-বড়, পূর্বের-পরের এবং প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল গোনাহ মাফ করে দাও। আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × 2 =