১। মেয়েরা শরীরের কাপড় চেঞ্জ করার সময় অবশ্যই “বিসমিল্লাহ” বলে নিবেন। নইলে আশেপাশে থাকা ফেরেশতারা লজ্জা পেয়ে চলে যাবে এবং জ্বীনরা আপনার সব দেখে ফেলবে। ২। আপনি
যখন ওয়াশরুমে যাবেন , যাওয়ার আগে অবশ্যই দোয়া পড়ে নিবেন । তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা আপনার ও জ্বীনদের মধ্যে একটি পর্দা তৈরী করে দেবে । এতে করে খবিশ জ্বীন গুলো আপনাকে ইভটিজিং করতে পারবে না। ৩। কোথাও কিছু ফেলার আগে বিসমিল্লাহ বলে ফেলবেন । এতে অন্যান্য সৃষ্টির কোনো অসুবিধা হবেনা। ৪। বাহিরে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ফেরেশতাদের সালাম দিয়ে বের হবেন ও দোয়া পড়ে বের হবেন।যেসব ফেরেশতারা আপনার অনুপস্থিতি তে আপনার ঘরটি পাহারা দিবেন ঘরে এসে তাদের আবারো সালাম দিন। ৫। বেশি বেশি সালাম দেওয়ার অভ্যাস করুন। ছোটদের আগে সালাম দিন । তারা উৎসাহিত হবে । ৬। আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে বাচ্চাদেরকে ছোট থেকে মসজিদে পাঠানোর অভ্যাস করুন । দাঁড়িয়ে পানি পান করতে দিবেন না বাচ্চাদের , তারা ছোট থেকেই শিখবে । আপনি নিজেও দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া বন্ধ করুন । বসে খাবেন । এটা সুন্নাহ। ৭। ডান কাত হয়ে ঘুমাবেন । এটা সুন্নাহ ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো । ঘুমের আগে অবশ্যই ৩ কুল পড়ে ৩ বার করে পড়ে শরীরে মালিশ করে ঘুমাবেন । এটা আপনাকে সারারাত বদ মানুষ ও জ্বীন থেকে হেফাজত করবে । ইন শা’ আল্লাহ্। ঘুমানোর পূর্বে আয়াতুল কুরসী পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন , একজন ফেরেশতা সারা রাত পাহারা দিবে। ৮। প্রতিরাতে অবশ্যই সুরা মুলক পড়ে ঘুমাবেন। এটা আপনার কবরের জীবনের সাথী , আপনাকে কবরের আযাব থেকে বাঁচাবে ইনশাআল্লাহ । সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত তেলাওয়াত করবেন । নবী করিম সঃ বলেছেন , এ-ই ২ আয়াত ঐ রাতের জন্য যথেষ্ট। ৯। ঘুমের আগে প্রতিদিন বিছানা ঝাড়েন অথচ এটা সুন্নত মনে করে ঝাড়লেই পেয়ে যাচ্ছেন সওয়াব। অনুরূপ ভাবে কাপড় পড়ার আগে অবশ্যই একটু ঝেড়ে নিবেন এটা সুন্নাহ এবং কাপড়ে কোনো পোকামাকড় থাকলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবেনা। ১০। পরিশেষে খিলখিল করে হাসা বন্ধ করুন । মুচকি হাসবেন । এটাই সুন্নাহ।