জিকির করার ফজীলত

0
334

জিকির এমন একটি আমল যা করা সহজ এবং উহার নেকি অনেক ও উহার উপকার অধিক আর জিকির করাতে আছে অন্তরের প্রশান্তি যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ٱلَّذِینَ ءَامَنُوا۟ وَتَطۡمَىِٕنُّ قُلُوبُهُم بِذِكۡرِ ٱللَّهِۗ أَلَا بِذِكۡرِ ٱللَّهِ تَطۡمَىِٕنُّ ٱلۡقُلُوبُ }[سُورَةُ الرَّعۡدِ: ٢٨]. (( যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহ্‌র স্মরণে যাদের মন প্রশান্ত হয়;

 জেনে রেখো, আল্লাহ্‌র স্মরণেই মন প্রশান্ত হয়))। সূরাতুল রআদ আয়াত : ২৮। অতঃপর জিকির করার ফজীলত সমূহ থেকে কয়েকটি ফজীলত পেশ করা হলো : ১) অধিক জিকির কারী দুনিয়া এবং আখেরাতের বালা – মূসিবত থেকে মুক্তি পাবে যেহেতু আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ﴿ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا لَقِيتُمْ فِئَةً فَاثْبُتُوا وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ ﴾ [الأنفال: 45]. হে ঈমানদারগণ ! তোমরা যখন কোন দলের সম্মুখীন হবে তখন অবিচলিত থাক এবং আল্লাহ্‌কে বেশি পরিমাণ স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও । ২) জিকির করাতে সমস্ত সগীরাহ গুনাহ মাফ হবে যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ﴿ وَالذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيرًا وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا ﴾ [الأحزاب: 35]. আল্লাহ্কে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহ্‌কে অধিক স্মরণকারী নারী তাদের জন্য আল্লাহ্ রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান। সূরাতুল আহযাব আয়াত : ৩৫। ৩) জিকির করাতে জিহাদ করার চেয়েও অধিক নেকি আছে যেহেতু নবী সাঃ বলেছেন, أَلَا أُنَبِّئُكم بِخَيْرِ أعمالِكُم ، وأَزْكاها عِندَ مَلِيكِكُم ، وأَرفعِها في دَرَجاتِكُم ، وخيرٌ لكم من إِنْفاقِ الذَّهَب والوَرِقِ ، وخيرٌ لكم من أن تَلْقَوا عَدُوَّكم ، فتَضْرِبوا أعناقَهُم ، ويَضْرِبوا أعْناقكُم ؟ ! ، قالوا : بَلَى ، قال : ذِكْرُ اللهِ : أخرجه الترمذي (3377). আমি কি তোমাদেরকে তোমাদের উত্তম আমল সম্পর্কে সংবাদ দিবনা এবং তোমাদের মালিক আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক পবিত্র আমল সম্পর্কে বলব না ও তোমাদের মর্যাদা অনেক উঁচু হবে এবং আল্লাহর রাহে তোমাদের স্বর্ণ ও রৌপ্য সদকাহ করার চেয়ে উত্তম এমনকি তোমরা তোমাদের শত্রুর সাথে সাক্ষাৎ করবে এবং তোমরা তাদের গর্দান উড়িয়ে দিবে আর তারা তোমাদের গর্দান উড়িয়ে দিবে এটার চেয়ে উত্তম আমলের সংবাদ দিব না ? তাঁরা বল্লেন, হ্যাঁ আল্লাহর রসূল! তিনি সাঃ বললেন : (( উহা হচ্ছে আল্লাহ্‌র জিকির করা)) । সুনানু তিরমিযী হাদীস নং : ৩৩৭। ৪) জিকির কারীগণ বিশেষ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবে যেহেতু ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন, عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم: (( سبَق المفردون، قالوا: وما المفردون يا رسول الله، قال: الذاكرون الله كثيرًا والذاكرات)). أخرجه مسلم : ٢٦٧٦. আবূ হুরায়রাহ রাযি আল্লাহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রসূলুল্লাহি সাঃ বলেছেন : মুফাররিদগণ ( আল্লাহর জিকির কারী) অগ্রগণ্য হয়েছে, সাহাবীগণ বল্লেন : হে আল্লাহর রসূল! মুফাররিদগণ কারা? তিনি সাঃ বল্লেন : (( আল্লাহর অধিক জিকির কারী পুরুষ এবং নারী)) । সহীহ মুসলিম হাদীস নং : ২৬৭৬। ৫) এক শত বার তাসবীহ পাঠ করাতে সমূদ্রের ফেনার পরিমাণ গোনাহ মাফ করা হবে যেমন নবী সাঃ বলেছেন , مَن قال : سُبْحانَ اللَّهِ وبِحَمْدِهِ، في يَومٍ مِائَةَ مَرَّةٍ؛ حُطَّتْ خَطاياهُ وإنْ كانَتْ مِثْلَ زَبَدِ البَحْرِ. صحيح البخاري. الرقم: 6405 ((যে ব্যক্তি দিনে একশত বার বলবে : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি তার গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে যদিও তার গোনাহ সমুদ্রের ফেনার পরিমাণ হয়ে থাকে)) । সহীহুল বুখারী হাদীস নং : ৬৪০৫। ৬) যে ব্যক্তি দিনে একশত বার লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু…. পাঠ করবে সে দশটি গোলাম আযাদ করার নেকি লাভ করবে যেমন ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন, عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: ((مَنْ قال لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له المُلْك، وله الحمد، وهو على كل شيء قدير، في يوم مائة مرة، كانت له عدل عشر رقاب، وكُتبت له مائة حسنة، ومُحيت عنه مائة سيئة، وكانت له حرزًا من الشيطان يومه ذلك حتى يُمسي، ولم يأتِ أحدٌ بأفضل ممَّا جاء به إلا أحد عمل أكثر من ذلك)). أخرجه البخاري (6404). আবূ হুরায়রাহ রাযি আল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রসূলুল্লাহি সাঃ বলেছেন : (( যে ব্যক্তি দিনে একশত বার বলবে : (( লা – ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা-শারিকালাহু লাহুল মুলকূ ওলাহুল হামদু ওহুয়া আলা কুল্লি শায়্ইন কাদীর)) তার জন্য একশত নেকী লেখা হবে এবং একশত গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে ও তাকে শয়তান থেকে রক্ষা হবে সেই দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আর তার থেকে কেউ উত্তম আমল নিয়ে আসতে পারবে না তবে যে তার থেকে অধিক আমল করেছে সে ব্যতীত))। সহীহুল বুখারী হাদীস নং : ৬৪০৪। ৭) যে ব্যক্তি এই কালেমা পাঠ করবে : সুবহানাল্লাহি, ওয়াল হামদু লিল্লাহে… উহা দুনিয়ার সমস্ত সম্পদ থেকে আল্লাহর নিকটে সর্বাধিক প্রিয় যেমন ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন, عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (لأن أقول: سبحان الله والحمد لله، ولا إله إلا الله والله أكبر، أحبُّ إليَّ مما طلعت عليه الشمس). أخرجه مسلم (2695). আবূ হুরায়রাহ রাযি আল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রসূলুল্লাহি সাঃ বলেছেন : (( আমি বলব : সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহে, ওয়া লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়া আল্লাহু আকবর যে দুনিয়াতে সূর্য উদয় হয়েছে উহার ( দুনিয়াতে যতযশম্পদ আছে) উহার চেয়ে উত্তম))। সহীহ মুসলিম হাদীস নং : ২৬৯৫। ৮) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহে….. উহা আল্লাহর নিকটে সব চেয়ে প্রিয় যেহেতু ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন, عن سمرة بن جندب رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ( ( أحبُّ الكلام إلى الله تعالى أربعٌ لا يضرك بأيهنَّ بدأت، سبحان الله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر)؛ رواه مسلم : ٢١٣٧. সামুরাহ বিন জুনদুব রাযি আল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন রসূলুল্লাহি সাঃ বলেছেন : (( আল্লাহর

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 − 4 =