তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: . ১) যিকির শয়তানকে দূর করে এবং তার কোমর ভেঙে দেয়। . ২) অন্তর থেকে দুশ্চিন্তা-পেরেশানী দূর করে। . ৩) শরীর এবং অন্তরে শক্তি জোগায়। . ৪) চেহারা ও দিলকে আলোকিত করে। . ৫) রিজিক টেনে নিয়ে আসে। . ৬) যিকিরকারীকে প্রভাব-প্রতিপত্তি ও মাধুর্যের পোশাক
পরানো হয়। অর্থাৎ তাকে দেখার দ্বারা মনে এক ধরনের ভয় কাজ করে এবং দর্শনার্থীদের মন আনন্দ ও স্বাদ লাভ করে। . ৭) আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। এবং যত বেশি যিকির করতে থাকবে, ততই আল্লাহর কাছাকাছি হবে। আর যিকির থেকে যত গাফিল হবে, আল্লাহ তাআল থেকে তত দূর হতে থাকবে। . ৮) আল্লাহ তাআলার ভয় ও তাঁর ভক্তি অন্তরে বসে। আল্লাহ সর্বদা বান্দার সাথে রয়েছেন, এই ভাব সৃষ্টি হয়। . ৯) যে ব্যক্তি খুশির সময় আল্লাহকে স্মরণ করে, আল্লাহ তাআলা তাকে বিপদের সময় স্মরণ করেন। . ১০) যিকির আল্লাহর আজাব থেকে পরিত্রাণের মাধ্যম। . ১১) সাকীনা ও রহমত বর্ষিত হওয়ার মাধ্যম। ফেরেশতাগণ যিকিরকারীদের বেষ্টন করে ফেলেন। . ১২) যিকিরের বরকতে গীবত, পরনিন্দা, মিথ্যা, অশ্লীল, অহেতুক কথা থেকে মুক্ত থাকা যায়। যেমনটি অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবে প্রমাণিত। যে ব্যক্তি যিকিরে অভ্যস্ত হয়ে যায়, সে সাধারণত এই সমস্ত ত্রুটি থেকে মুক্ত থাকে। আর যে যিকিরে অভ্যস্ত নয়, সে সব ধরনের অহেতুক জিনিসে লিপ্ত হয়। . ‘ফাযায়েলে আমাল (তাহকীক-তাখরীজ যুক্ত)’ গ্রন্থ থেকে চয়িত।