এলেমের ফযীলত

0
230

কেয়ামতের লক্ষন সহীহ বোখারী শরীফ ৮৩। হাদীসঃ হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, বিদায় হজ্জে রাসূলুল্লাহ (সঃ) ‘মিনায়’ স্বীয় উষ্ট্রীর উপর দণ্ডায়মান হলেন, যাতে মানুষ দূর থেকে তাঁকে দেখতে এবং প্রশ্ন করতে পারেন। এ সময় এক ব্যক্তি এসে প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! আমি জানি না, তাই কোরবানীর জন্তু জবেহ করার পূর্বে মাথা মুক্তিয়ে ফেলেছি। হুযুর (সঃ) বললেন, এখন জবেহ কর, কোন অসুবিধা নেই। অতঃপর আরেক ব্যক্তি এসে প্রশ্ন করল, হুযুর (সঃ)! আমি তো জানি না, তাই মিনায় কংকর নিক্ষেপ করার পূর্বেই কোরবানীর জানোয়ার নহর (কুরবাণী) করে ফেলেছি। হুযুর (সঃ) বললেন, এখন কংকর নিক্ষেপ কর, কোন দোষ নেই।

বর্ণনাকারী বলেন, তখন হুযুর (সঃ)-কে যত প্রশ্ন করা হয়েছিল, তাতে কোন কাজ আগে করেছে অথবা পরে করেছে; বরং প্রত্যক প্রশ্নের উত্তরেই হুযুর (সঃ) বলেছেন, তা কর, কোন দোষ নেই। ৮৪। হাদীস: হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, বিদায় হজ্জে হুযুর (সঃ)-কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়েছে। কেউ বলেছে, আমি কংকর নিক্ষেপের পূর্বে জবেহ করেছি, বর্ণনাকারী বলেন, উত্তরে হুযুর (সঃ) হাতে ইশারা করে বলেছেন, কোন দোষ নেই। কেউ বলেছে, আমি জবেহ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করেছি, উত্তরে হুযুর (সঃ) হাতে ইশারা করে বলেছেন, কোন দোষ নেই। ৮৫। হাদীসঃ হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (সঃ) থেকে রেওয়ায়াত করেন, আস্তে আস্তে এলেম উঠিয়ে নেয়া হবে, কুসংস্কার এবং ফেতনা ফাসাদ প্রকাশ পাবে। হত্যার চর্চা বেশি হবে। তারপর মানুষ প্রশ্ন করল, ‘হারজ’ কি? তখন তিনি হাতে ইশারা করে দেখালেন। মনে হয় এর দ্বারা তিনি হত্যা উদ্দেশ্য করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 1 =