মহিলাদের শিক্ষার জন্য পৃথক ব্যাসথা করা

0
210

সহীহ বোখারী শরীফ ১০২। হাদীস ৪ হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সময় মুসলিম মহিলাগণ হুযুর (সঃ)-এর কাছে আরজ করলেন, পুরুষগণ আপনার নিকট আসার ব্যাপারে আমাদের উপর বিজয়ী হয়ে গেছেন। তাই আমাদের এলেম শিক্ষার জন্য আপনার পক্ষ হতে ভিন্ন কোন দিন নির্ধারিত করুন। হুযুর (সঃ) তাদের জন্য একটি দিনের ওয়াদা করলেন এবং নির্দিষ্ট দিনে তাদের সাক্ষাতে গেলেন। তাদেরকে কিছু নসীহত করলেন এবং কিছু কাজের আদেশ দিলেন। সে দিন তিনি তাদেরকে যা বলেছিলেন; তন্মধ্যে একটি উপদেশ ছিল, তোমাদের মধ্যে কোন মহিলার যদি তিনটি সন্তানই শৈশবকালে মারা যায়, তা হলে উক্ত সন্তানরা তার জন্য দোযখের আযাব থেকে ঢাল স্বরূপ হবে। এক মহিলা প্রশ্ন করলেন, যদি দু’সন্তান মারা যায়? উত্তরে হুযুর (সঃ) বললেন, দু’জন হলেও (মহিলাদের কে শিক্ষার উদ্দেশ্যে পৃথক ব্যবস্থা করা শরীয়তসম্মত)।

555555

কোন কিছু শুনার পর ভালভাবে বুঝার জন্য পুনরায় প্রশ্ন করা

সহীহ বোখারী শরীফ ১০৩। হাদীস : হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আবী মুলাইকা বলেন, উন্মুল মোমেনীন হযরত আয়েশা (রাঃ)-এর অভ্যাস ছিল, তিনি কোন কিছু শুনলে তা বুঝে না আসা পর্যন্ত পুনরায় জিজ্ঞেস করতেন। একদা হুযুর (সঃ) বললেন, যার হিসাব নেয়া হবে তাকে অবশ্যই শাস্তি প্রদান করা হবে। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, আল্লাহ কি বলেননি- “তাদের খুব সাধারণ হিসাব নেয়া হবে।” উত্তরে হুযুর (সঃ) বললেন, এ বাক্য তো ক্ষমা হিসেবে বলা হয়েছে, কিন্তু যার কঠিন হিসাব নেয়া হবে সে অবশ্যই ধ্বংস হবে। ১০৪। হাদীস : হযরত ইবনে আবু মুলাইকা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) -এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাঃ) কোন কথা শুনে বুঝতে না পারলে ভালভাবে না বুঝা পর্যন্ত বার বার প্রশ্ন করতেন। একবার নবী করীম (সাঃ) বললেন “(কিয়ামতের দিন) যার হিসাব নেওয়া হবে তাকে আযাব দেয়া হবে।” আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ্ তায়ালা কি ইরশাদ করেননি فَسَرْفَ يُحَاسِبٌ جان )তার হিসাব-নিকাশ সহজেই নেয়া হবে) তখন তিনি বললেন, তা কেবল হিসাব পেশ করা।

কিন্তু যার হিসাব পুঙ্খানু পুঙ্খরূপে নেওয়া হবে সে ধ্বংস হবে। ১০৫। হাদীস : মদীনার শাসনকর্তা আমর ইবনে সাঈদ যখন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যোবায়ের (রাঃ)-এর বিরুদ্ধে পবিত্র মক্কা নগরীতে সৈন্য প্রেরণ করছিলেন, তখন আবু শুরাইহ (রাঃ) তাকে বললেন, হে আমীর। যদি অনুমতি দেন তা হলে আমি আপনাকে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর এমন একখানা হাদীস শুনাব, যা তিনি মক্কা বিজয়ের পরের দিন প্রাতঃকালে ইরশাদ করেছিলেন। যে হাদীসখানা আমার কর্ণদ্বয় শুনেছে, অন্তর তা স্মরণ রেখেছে এবং আমার চক্ষুদ্বয় তাঁকে বলতে দেখেছে। সেদিন নবী করীম (সঃ) মহান আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করার পর ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ এ পবিত্র মক্কা নগরীকে হারাম করেছেন, কিন্তু লোকেরা তা হারাম করেনি। সুতরাং যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ এবং শেষ বিচার দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তার জন্য জায়েয নয় তথায় কোন রক্তপাত করা, কোন বৃক্ষ কর্তন করা। যদি কেউ রাসূল (সঃ)-এর যুদ্ধের কারণে সুযোগ গ্রহণ করতে চায়; তবে তোমরা তাকে বলে দিও, মহান আল্লাহ তাঁর রাসূলের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। তোমার জন্য অনুমতি নেই। আর আমার জন্যও কেবলমাত্র দিনের একটি বিশেষ অংশে অনুমতি দেয়া হয়েছিল। অতঃপর আজ তার ছরমত গতকল্যের ন্যায় ফিরে এসেছে। উপস্থিত ব্যক্তিদের উচিত তারা যেন আমার এ কথা অনুপস্থিতদের কাছে পৌঁছে দেয়। রাবী আবু শুরাইহ-এর কাছে প্রশ্ন করা হল, তারপর আমর ইবনে সাঈদ কি বলেছেন? তিনি বলেছেন, আমর বলেছিল, হে আবু শুরাইহ। এ প্রসঙ্গে আমি তোমার চাইতে বেশি পরিজ্ঞাত। যে ব্যক্তি অন্যকে খুন করবে বা চুরি করে পালিয়ে মক্কায় আশ্রয় নেবে, এ ধরনের নাফরমানকে মক্কা রক্ষা করে না।

১০৬। হাদীসঃ হযরত আবু বাকরা (রাঃ) রাসুল (সঃ)-এর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, তিনি বলেছেন, তোমাদের জান, তোমাদের মাল (মুহাম্মদ ইবনে সিরীন বলেন, আমার ধারণা- তিনি আরো বলেছেন,) তোমাদের ইজ্জত সম্মান, তোমাদের উপর এমনভাবে হারাম করা হয়েছে, যেমন আজকের এ দিন, এ মাস তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে। সাবধান। তোমাদের উপস্থিতগণ অনুপস্থিতদের কাছে আমার এ খবর পৌঁছে দিবে। ‘মুহাম্মদ ইবনে সিরীন’ (রঃ) বলেন, রাসূল (সঃ) সত্য বলেছেন। হে সাহাবাগণ। তোমরা মনোযোগ সহকারে শুন। আমি কি তোমাদের কাছে আল্লাহর হুকুম আহকাম পৌঁছিয়েছি? দু’বার তিনি এ কথা বলেছেন। ১০৭। হাদীসঃ হযরত আলী (রাঃ) বলেন। নবী করীম (সঃ) ইরশাদ করেছেন, আমার প্রতি মিথ্যারোপ করো না। যে আমার প্রতি মিথ্যারোপ করবে সে দোযখে প্রবেশ করবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 − 2 =