(১) যেই ভুল বা গুনাহের কাজগুলো করা হয়েছে তা এখন থেকেই ছেড়ে দিতে হবে। (২) পূর্বে যে ভুলগুলো করা হয়েছিলো তার জন্য মন থেকে অনুতপ্ত হয়ে চোখের পানি ফেলে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। (৩) অতীতের ভুলগুলো যেন ভবিষ্যতে কখনও
করা না লাগে সেজন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। (৪) কারো হক নষ্ট করে থাকলে তার হক পূরণ করে দিতে হবে কিংবা তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তওবার মধ্যে যদি এই চারটি শর্ত পাওয়া যায়, তাহলেই সেটি আন্তরিক তওবা হিসেবে গন্য হবে। অন্যথায় সেটি আন্তরিক তওবা হিসেবে গন্য হবে না। আমরা গুনাহ করলাম, আবার তওবা করলাম, আবার গুনাহ করলাম, আবার তওবা করলাম, এভাবে আসলে গুনাহ অব্যাহত রেখে তওবা করলে তওবা কবুল হবে না। বরং গুনাহ করা এখন থেকেই একেবারের জন্য ছেড়ে দিতে হবে, এরপরে আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে ক্ষমা চাইতে হবে। তাহলেই সেটি আল্লাহর নিকট একনিষ্ঠ তওবা বলে বিবেচিত হবে ইন শা আল্লাহ তাই সর্বদা পূর্বের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করুন এবং দৈনিক কমপক্ষে ১০০ বার করে পাঠ করুনঃ- “আস্তাগফিরুল্ল-হ”, “আস্তাগফিরুল্ল-হাল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুম ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল ‘আলিয়্যিল ‘আউজীম”।